Hanskhali Molestation : হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ-খুনে তৃণমূূল নেতার ছেলে-সহ ৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা
যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিককে। তৃণমূলের তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালির ৫ বছরের জেল হয়েছে।

সুজিত মণ্ডল , নদিয়া : হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ-খুনে সাজা ঘোষণা করল আদালত। আগেই ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মঙ্গলবার ছিল সাজা ঘোষণার দিন। এদের মধ্যে ৩ জনের যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেয় রানাঘাট আদালত। এদের মধ্যেই রয়েছে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূূল নেতার ছেলে সোহেল গয়ালি। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিককে। তৃণমূলের তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালির ৫ বছরের জেল হয়েছে। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালি ও প্রভাকর পোদ্দারকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বাকি ৭ জনকে গ্রেফতার করে CBI, তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালিও।
এছাড়া, অংশুমান বাগচী নামে এক দোষীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ বাদে, সুরজিৎ রায় ও আকাশ বাড়ৌ নামে দুই দোষীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন ঘোষণা করেছে রানাঘাট আদালত। যার মেয়াদ ১ বছর। এই ১ বছরের মধ্যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে এই সময়সীমা কমে যাবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
২০২২ সালে এই ঘটনা তোলপাড় ফেলেছিল রাজ্যজুড়ে। নদিয়ার সখালি থানা এলাকায় ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ ছিল, ৫ এপ্রিল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে নেমন্তন্ন করে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্র এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়া হয় নির্যাতিতাকে। পরে তার মৃত্যু হলে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করিয়ে দেন রাতারাতি। এই ঘটনা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় ফেলে দেয়। এই মামলা প্রথমে রাজ্য পুলিশের হাতেই ছিল। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্টির কথা জানায় পরিবার। তখন আদালত দন্তের ভার দেয় সিবিআইকে। সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটের ভিত্তিতে ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপর মঙ্গলবার তাদের মধ্যে তিন জনকে যাবজ্জীবন দিল রানাঘাট মহকুমা আদালত।
এই ঘটনায় সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর একটি পুরনো মন্তব্য মনে করিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভা থেকে বলেন,'মেয়েটির লভ অ্যাফেয়ার্স ছিল, বাড়ির লোকেরা সেটা জানত, প্রতিবেশীরাও সেটা জানত। এখন যদি কোনও ছেলেমেয়ে প্রেম করে, সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়'। হাঁসখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর সেই পুরনো মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আকচাআকচি।






















