(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Recruitment Scam: নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের, CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল হাইকোর্টের
Calcutta High Court: কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে? রহস্যময় চিঠি নিয়ে সিবিআই-অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পাহাড়ে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধাক্কা রাজ্যের। সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ।
GTA এলাকার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, রহস্যজনক চিঠি নিয়ে, হাইকোর্ট CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। আর সেই নির্দেশ দেওয়ার পরই FIR দায়ের করে বিধাননগর উত্তর থানা। অন্যদিকে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের CBI অনুসন্ধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় আদালতে ধাক্কা খেল তারা। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতির হরিশ টন্ডন ডিভিশন বেঞ্চ।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহার মতো তৃণমূল বিধায়করা। তার মধ্য়েই এবার পাহাড়ের নিয়োগ দুর্নীতির FIR-এও উঠে এসেছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য় সভাপতি থেকে তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম। বিধাননগর উত্তর থানার দায়ের করা FIR-এ জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পাশাপাশি নাম রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী, হাবড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বুবাই বসুর। FIR-এ নাম রয়েছে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বিনয় তামাং, স্কুল শিক্ষা দফতরের দার্জিলিঙের প্রাক্তন DI প্রাণগোবিন্দ সরকার, এবং দেবলীনা দাস নামে আরও একজনের। দুর্নীতি দমন আইনের একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, বিধাননগর উত্তর থানায় একটি চিঠি দেন স্কুল শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি ভূপালচন্দ্র হালদার। সেখানে বলা হয়েছিল পাহাড়ে ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষকের স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তবে তার ভিত্তিতে কোনও FIR দায়ের করেনি পুলিশ। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের তরফে ৪ সদস্যের দল গঠন করা হয়। যেখানে ছিলেন কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন, ADM দার্জিলিং, স্কুল শিক্ষা দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি, ও একজন সহকারী অধিকর্তা। সেই কমিটি তদন্তে নেমে, দার্জিলিঙের তৎকালীন ডিআই প্রাণগোবিন্দ সরকারের বয়ান রেকর্ড করে। সূত্রের খবর, সেই সময় প্রাণগোবিন্দ জানিয়েছিলেন, চাপের মুখে পড়ে তিনি এই কাজ করেছেন। এবিষয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিই তাঁকে এই কাজ করতে বলেছিলেন। এদিকে সরকারি সূত্রে খবর, এই শিক্ষকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা মন্ত্রিসভায় পাস হয়নি। এই নিয়ে মেলেনি অর্থ দফতরের অনুমোদনও। চলতি বছর ২৬ শে জানুয়ারি, জনৈক সনাতন বিকাশ মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পায় স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই চিঠি রাজ্য পুলিশের কাছে ফরওয়ার্ডও করা হয়। দীর্ঘদিন পর, এই সবের ভিত্তিতেই গত সপ্তাহে FIR দায়ের করে পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: 'ভোট দিতে গেলে কেটে নেওয়া হবে হাত-পা' কান্নায় ভেঙে পড়লেন BJP কর্মী