Hooghly: বয়স্ক ব্যক্তিরে মার পুরচেয়ারম্যানের! আচরণের নিন্দা করে ক্ষমা চাইলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক
চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারের, যেখানেই অন্যায় হবে, আমি অত্যাচারিত মানুষের পাশে আছি। এই বিষয়ে কোন রং-দল দেখি না, কারণ আমি বিধায়ক।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পুকুর ভরাটের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে অভিযুক্তের বয়স্ক বাবাকে মার পুরচেয়ারম্যানের! বিতর্কে চুঁচুড়ার পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা অমিত রায়। দলের পুরচেয়ারম্যানের আচরণের নিন্দা করে ক্ষমা চেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারের কথায়, যেখানেই অন্যায় হবে, আমি অত্যাচারিত মানুষের পাশে আছি। এই বিষয়ে কোন রং-দল দেখি না, কারণ আমি বিধায়ক।
চুঁচুড়া পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান অমিত রায়ের, যেদিন থেকে মমতা ব্যানার্জি আমাকে পুরপ্রধান করেছেন, সেদিন থেকে আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অনেকেই বহুবার পুকুর বোজাতে গেছেন, আমি কোনওদিন কোনও কিছু দেখাবার জন্য করি না।
পুকুর ভরাটের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বয়স্ক বাবাকে পুরসভার চেয়ারম্যানের ধাক্কা! আর হুগলির চুঁচুড়ার এই ঘটনা ঘিরে এবার সামনে চলে এল, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যানের মতবিরোধ!
বিধায়ক যখন এই ঘটনাকে 'অন্যায়' বললেন, তখন তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যানের গলায় উঠে এল ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব! পুকুর ভরাটের অভিযোগ ঘিরে বাদানুবাদের এই ছবি শনিবারের! কথা চলাকালীন অভিযুক্ত বিজেপির যুব মোর্চা নেতার বয়স্ক বাবাকে ধাক্কা দিতে দেখা যায় তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়কে। এই ঘটনায় রবিবারই ক্ষমা চেয়েছিলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক। এদিন সকালে তিনি অসুস্থ মিহির তালুকদারের সঙ্গে দেখা করেন।
পাল্টা তৃণমূল বিধায়ককে ধন্যবাদ জানান, বিজেপির যুবমোর্চা নেতা ও তাঁর বাবা দুজনেই। চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদার বলছেন,আইন হাতে নেওয়ার অধিকার আমার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই। অন্যায় হলে বিএলআরও, ডিএম, পুলিশ আছে। তা বলে এটা সম্ভব না। কেউ আমায় দুর্বল ভাবলে আমি দুর্বল নয়,আর কেউ দুর্বল কে অত্যাচার করলে আমি দুর্বলের পাশে।আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
কিন্তু, দলের বিধায়কের এই ভূমিকাকে যে তিনি মোটেও ভালভাবে নেননি, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পুর চেয়ারম্য়ান।
চুঁচুড়া পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান অমিত রায়ের কথায়, ওনারাই আমাদের গালিগালাজ করেন চোর বলে। ওনারাই আমার দিকে তেরে আসেন মারতে উদ্ধত হন। আমি আত্মরক্ষার্থে হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দিই। এটা নিয়েই রাজনীতি হচ্ছে। বিধায়ক অতি উৎসাহী হয়ে গেছেন ওনার বাড়ি। সত্যটা দেরিতে হলেও উদঘাটিতো হবে। আমি অন্যায়ের সাথে সমঝোতা করি না, করবোও না। তৃণমূলর দুই নেতার মতবিরোধ দেখে কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। তৃণমূল বিধায়ক ও পুরপ্রধানের ভিন্নমত ঘিরে এই বিতর্ক কতদূর গড়ায়, সেটাই এখন দেখার!