Hooghly Blast: কীভাবে কারখানায় বিস্ফোরণ ? হুগলিকাণ্ডে ফরেন্সিক দল
Forensic Team on Hooghly Blast: হুগলি বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, এখনও চিকিৎসাধীন ২ জন। তবে এই বিস্ফোরণের পিছনে আসল কারণটা কী ? আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ফরেন্সিক দল।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি: হুগলি বিস্ফোরণকাণ্ডে পরিদর্শনে ফরেন্সিক দল। শ্রীরামপুরের (Serampore) পিয়ারাপুরে দিল্লি রোডের ধারে (Near Delhi Road) বৃহস্পতিবার যে কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল, আজ সেই কারখানার ভিতর বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন ফরেন্সিক দল। সঙ্গে রয়েছে চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গতকাল কারখানার ভিতর কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে ২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়, আহত ২ জন চিকিৎসাধীন। গতকাল যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার কারণ কী ? কী জাতীয় জিনিস কাটা হচ্ছিল ? মূলত তাই খতিয়ে দেখতে আজকে ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ। প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই নন্দকুমারের একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। নন্দকুমারে বরফকলে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। অ্যামোনিয়া গ্যাস সিলিন্ডারে (Ammonia Gas Cylinder) বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যু কারখানার মালিকের। গুরুতর জখম হয় এক শ্রমিক। বরফ কারখানায় বিস্ফোরণের প্রাণ হারানোর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার নন্দকুমার (Nandakumar) থানার বরগোদা গোদার গ্রামে। বরফ কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বার বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয়েছে কারখানার মালিকের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানা এলাকার বরগোদা গোদার গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরণের শব্দে হঠাৎই কেঁপে ওঠে বরগোদা গোদার গ্রাম। বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিস্ফোরণের উৎস খুঁজতে গিয়ে জানা যায় ঠেকুয়াচক পুরষাঘাট বাস রাস্তার পাশে একটি বরফ কারখানায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বরফ কারখানার অ্য়াসবেস্টসের ছাদের একাংশ উড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই বরফ কারখানার মালিকের। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল ? তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয় নন্দকুমারের বরগোদা গ্রামে।
আরও পড়ুন, 'তদন্তকারী সংস্থাকে বলুক', কুন্তলকে কী চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তাপস ?
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, ছয়-সাত বছর ধরে বাস রাস্তার পাশে ওই বরফ কারখানাটি চলছিল। স্থানীয় চন্দন বর্মন বরফ কারখানার মালিক। কিন্তু শেষ এক সপ্তাহ ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। বরফ তৈরির জন্য লিকুইড অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বার ঠিকঠাক কাজ করছিল না। ওই গ্যাসের চেম্বার সারাইয়ের জন্য মিস্ত্রি নিয়ে আসেন বরফ কারখানার মালিক। গ্যাস চেম্বার সারাইয়ের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস চেম্বারের পাশে থাকা মালিক চন্দন বর্মন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এবং কাজের জন্য আসা মিস্ত্রি গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়।