Hooghly: চুঁচুড়ায় পোস্টার বিতর্ক, শুরু তৃণমূল-বিজেপি তরজা
Hooghly News: গেরুয়া শিবির পোস্টারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নীরব মোদি, মেহুল চোক্সীকে যারা দেশে ফেরাতে পারেনি, তাদের মুখে সততার কথা মানায় না, বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের।
সৌরভ বন্দ্যােপাধ্যায়, হুগলি: তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা সরানোর অভিযোগে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় পোস্টার ঘিরে বিতর্ক। গতকাল রাতে চুঁচুড়া স্টেশন, হুগলি স্টেশন, সদর হাসপাতাল চত্বর এলাকায় এ ধরনের পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারে (Poster) তৃণমূলের (Tmc) বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র তদন্ত দাবি করা হয়েছে। পোস্টারের (Poster) নীচে বিজেপির নাম লেখা থাকায় শুরু হয়েছে তরজা। গেরুয়া শিবির পোস্টারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নীরব মোদি, মেহুল চোক্সীকে যারা দেশে ফেরাতে পারেনি, তাদের মুখে সততার কথা মানায় না, বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের।
অশোকনগরেও পোস্টার বিতর্ক
‘অশোকনগরের পার্থ চট্টোপাধ্যায় পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার’। পোস্টার ঘিরে উত্তাল অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভা। পরে তৃণমূল এসসিএসটি সেলের পক্ষ থেকে সেই পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। অশোকনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের । পোস্টার প্রমাণ করে টাকা ছাড়া তৃণমূলে কোন কাজ হয় না, মন্তব্য বিজেপির। অভিযোগ প্রমাণ হলে পদত্যাগ করব, পাল্টা আক্রমণ পুরপ্রধানের।
বিজেপির সাংসদ, বিধায়কের নামে নিখোঁজ পোস্টার
কিছুদিন আগেই রঘুনাথপুরে বিজেপির সাংসদ, বিধায়কের নামে নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে বিজেপি সাংসদ (BJP MP) সুভাষ সরকার ও বিধায়ক (MLA) বিবেকানন্দ বাউড়ির নামে নিখোঁজ পোস্টার দিয়েছেন নিজেকে বিজেপি কর্মী পরিচয় দেওয়া এক যুবক। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল- বিজেপির তরজা।
রঘুনাথপুর বিধানসভা এলাকার সাতুড়ি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটতে দেখা যায় এক যুবককে। পোস্টারে বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার ও রঘুনাথপুরের বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ির ছবি। ওপরে লেখা নিখোঁজ। যিনি পোস্টার লাগাচ্ছিলেন, তাঁর নাম অঞ্জন গোস্বামী। বাড়ি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। নিজেকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছেন তিনি। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ছে রঘুনাথপুর বিধানসভা। যুবকের দাবি, এলাকার মানুষ বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে এবং বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়িকে দেখতে পান না। সমস্যার কথা বলেও সুরাহা হয় না।