Jagannath Temple: চন্দনে স্নান করার পরই জ্বর জগন্নাথের, চাক্ষুষ করতে ভক্তদের ভিড় মাহেশে
Mahesh Jagannath Temple: প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে মহাপ্রভু জগন্নাথদেব নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করতে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হুগলির (Hooghly) মাহেশে (Mahesh) অক্ষয় তৃতীয়া (Akshaya Tritiya) উপলক্ষে সূচনা হল মাহেশের রথযাত্রার (Rath Yatra)। আজ চন্দন যাত্রার সূচনা হয়। মন্দির চত্বরে সেই চন্দনযাত্রা দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় ছিল ভক্তদের। আগামী ১ জুলাই মাহেশে রথযাত্রা উত্সব।
করোনার কারণে গত দু’বছর বন্ধ ছিল হুগলির মাহেশের রথযাত্রা। এবার সেই মাহেশে মহা ধুমধাম। কারণ, এ বছর রথযাত্রা হবে। অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সেই মাহেশেই মঙ্গলবার সূচনা হল রথযাত্রা উত্সবের। এই দিনটিতেই শুরু হল চন্দন যাত্রা। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়ায় হয় চন্দন যাত্রা উত্সব।
আরও পড়ুন, বৃষ্টিস্নাত শহরে ইদ পালন, নমাজ পাঠ-প্রার্থনায় মুখরিত তিলোত্তমা
এ নিয়ে প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে মহাপ্রভু জগন্নাথদেব নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করতে। কারণ, প্রখর তাপে জগন্নাথদেবের মাথা ধরেছিল। সেই কারণে বিগ্রহে চন্দন লেপন করে সূচনা হয় চন্দন যাত্রার। স্নানযাত্রার দিন সেই চন্দন দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে। স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসবে। তখন বন্ধ থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবেন জগন্নাথদেব। জ্বর থেকে সেরে উঠে রথে চেপে জগন্নাথদেব মাসির বাড়ি যাবেন। সেই দিনই রথযাত্রা।
এবার রথযাত্রা উত্সব ১ জুলাই। এদিন প্রথমে বলরাম, তারপর সুভদ্রা ও জগন্নাথদেবকে চন্দন লেপন করা হয়। রান্না হয় ভোগ। কীর্তন, প্রদীপ জ্বালিয়ে চলে আরতি। মাহেশের মন্দির চত্বরে সকাল থেকেই ছিল ভক্তদের ভিড়। দু’বছর পর রথযাত্রার সূচনা চাক্ষুষ করতে অনেকেই এসেছিলেন মাহেশে। এ বছর মাহেশের রথযাত্রা ৬২৬ বছরে পড়ল।