TMC: জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কীভাবে পুকুরে ফোন ফেললেন জীবনকৃষ্ণ? দায়িত্বে থাকা CBI অফিসারদের উপর ক্ষুব্ধ দিল্লি
CBI Officers: অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণর ফোন প্রথমেই কি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল? দায়িত্বে থাকা সিবিআই অফিসারদের উপর ক্ষুব্ধ দিল্লি, রিপোর্ট তলব, খবর সূত্রের।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কীভাবে পুকুরে ফোন ফেললেন জীবনকৃষ্ণ? জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর সময় নেওয়া হয়নি বিধায়কের ফোন? সিবিআই পৌঁছনোর ৫ ঘণ্টা পর কীভাবে ফোন পেলেন জীবনকৃষ্ণ? অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণর ফোন প্রথমেই কি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল? দায়িত্বে থাকা সিবিআই অফিসারদের উপর ক্ষুব্ধ দিল্লি, রিপোর্ট তলব, খবর সূত্রের। দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের চরম গাফিলতি, মনে করছে দিল্লি, এমনটাই খবর সূত্রের।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টানা ৬৫ ঘণ্টা নাটকীয় টানাপোড়েনের পর, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শাসকদলের তৃতীয় বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, প্রায় ৬৬ ঘণ্টা পর অবশেষে উদ্ধার জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোন। শুক্রবার বিকেলে পুকুরে দুটি মোবাইল ফোনই ফেলে দিয়েছিলেন শাসক বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের একটি ফোন উদ্ধার হয় রবিবার সকালে। ৬৬ ঘণ্টা পরে উদ্ধার হল দ্বিতীয় ফোনটি। সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানে বিধায়কের বাড়ির অদূরে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি ব্যাগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যাগগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি মিলেছে। ভোরবেলা জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারের পর, কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই। আজই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে তোলা হবে আলিপুর আদালতে।
আরও পড়ুন, নিয়োগ-দুর্নীতিতে আরও নেতার হদিশ?জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ জন বিধায়কের নাম CBI-এর হাতে
প্রসঙ্গত, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনেই কী লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য? তার হদিশ পেতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ফোন আজই পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ২ দিন ধরে জলের মধ্যে পড়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্য়াগে মিলেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার নথি। সিবিআইয়ের দাবি, এই নথিগুলির মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার নয়, অন্য জেলার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও মিলেছে। এই সমস্ত অভিযোগ সামনে রেখেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারা যুক্ত করার চেষ্টা করছে সিবিআই।