Howrah News: পথহিংসায় মৃত্যু দেওরের, খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন বৌদি, বাঁচানো গেল না তাঁকেও
Howrah Twin Deaths: হাওড়ার আমতার ঘটনা। রসপুর সোমেশ্বর এলাকায় বাড়ি ওই ব্যক্তির।

সুনীত হালদার, হাওড়া: সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ঝামেলা। বচসা থেকে হাতাহাতি এবং তা থেকে বেধড়ক মারধর। চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বেঘোরে মৃত্যু এক ব্যক্তির (Howrah Twin Deaths)। সেই খবর বাড়িতে পৌঁছতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তির বৌদি। মারা যান তিনিও। অকস্মাৎ এক বাড়ির দুই সদস্যের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায় (Howrah News)।
রাস্তায় প্রতিবেশী দুই যুবকের সঙ্গে ঝামেলা বাধে নিহত ব্যক্তির
হাওড়ার আমতার ঘটনা। রসপুর সোমেশ্বর এলাকায় বাড়ি ওই ব্যক্তির। তাঁকে ৪২ বছর বয়সি অসিত মাঝি বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় রাস্তায় প্রতিবেশী দুই যুবকের সঙ্গে ঝামেলা বাধে তাঁর। বচসা থেকে ক্রমশ তা হাতাহাতি এবং শেষ মেশ বেধড়ক মারধরে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি, অনুব্রত কন্যাকে ফোন ইডির
মারধরের জেরে গুরুতর জখম হয়ে পড়েন অসিত। স্থানীয়রা মিলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন তাঁকে। প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। তার পর উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় অসিতের। বাড়িতে সেই খবর এসে পৌঁছতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাঁর ৪৭ বছর বয়সি বৌদি লক্ষ্মী মাঝি। তাঁকেও বাঁচানো যায়নি। মাত্র কিছু ক্ষণের ব্যবধানে ঘটে যাওয়ায় এই ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার এবং গোটা এলাকায়।
আমতা থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে
এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুই যুবক পলাতক। তাঁদের পাপাই পোল্লে এবং নয়ন গায়েন বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের লোকজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা। আমতা থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
এ দিকে, শনিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন কাঁকুড়গাছির এক বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর আজ সকাল আটটা নাগাদ মহম্মদ আরিফ আনসারি নামে ওই আইনজীবী ব্রিজের মাঝখানে বাইক রেখে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। ঘটনাস্থলে হেস্টিংস থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় তাঁর। ঝাঁপ দেওয়ার আগে তিনি পরিবারকে ফোনও করেন। ওই আইনজীবীর খোঁজ চালাচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ।





















