J W Marriott Fire : বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে আগুন, তীব্র আতঙ্ক
Kolkata Fire : জে ডব্লু ম্যারিয়টের ২৩ তলার সার্ভার রুমে ধোঁয়া। বের করে দেওয়া হল ২০ ও ২১ তলের অতিথিদের।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে আগুন-আতঙ্ক। জে ডব্লু ম্যারিয়টের (JW Marriott Hotel) ২৩ তলার সার্ভার রুমে ধোঁয়া। বের করে দেওয়া হল ২০ ও ২১ তলের অতিথিদের। দমকলের (Fire Tender) ২টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় একঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আতঙ্ক ছড়ালেও কোনও হতাহত বা অসুস্থতার ঘটনা ঘটেনি। দোলের দিন অভিজাত হোটেলে ছিলেন অনেক অতিথি। যার মধ্যে ছিলেন বিদেশিরাও। তাই কীভাবে এমন আগুন লাগার ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ সকাল ১০ টা নাগাদ বাইপাসের ধারে অভিজাত পাঁচতারা হোটেলের ২৩ তলার সার্ভার রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সেই ফ্লোরে অতিথিদের পাশাপাশি উপরে-নিচের ফ্লোরগুলিতে যে অতিথিরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র আতঙ্ক। পরিস্থিতি এমন যায়গায় পৌঁছয় যে হোটেলের ২০ ও ২১ তলায় যে অতিথিরা ছিলেন, তাঁদেরকে হোটেল থেকে বাইরে বের করে দিতে হয়। যার মধ্যে ছিলেন অনেক বিদেশি অতিথিও। প্রায় ঘণ্টাখানেক অভিজাত হোটেলের এয়ার কন্ডিশানিং সিস্টেম (Air Conditioning System) বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হয়। পাশাপাশি গোটা হোটেলের ইলেকট্রিক সার্ভিসও বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হয়েছিল।
আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হোটেলে এসে পোঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। এসে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন পুলিশের আধিকারিকরা। হোটেলেরই যে অগ্নি নির্বাচন পদ্ধতি (Fire Extingusher System) ছিল, তার মাধ্যমেই প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। যারপর সেখানে পৌঁছে গোটা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। প্রায় একঘণ্টা লাগে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষে জানানো হয়, হতাহতের বা অসুস্থ হয়ে পড়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। যদিও আগুন লাগার জেরে খানিক হুড়োহুড়ি দেখা যায় অতিথিদের মধ্যে। কয়েকজন শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বোধ করেন।
আরও পড়ুন- 'হামলা হতে পারে', এবার পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন কৌস্তভ
অন্যদিকে, দোলের দিনে আগুন হৃদয়পুরে। হৃদয়পুর স্টেশন (Hridaypur Station) সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে একটি বন্ধ দোকানে আজ দুপুরে আগুন (Fire) লাগে। আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট করে জানা যায়নি। বাজারের মধ্যে অনেকগুলো দোকান থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দমকলের দুটো ইঞ্জিন (Fire Engine) এসে আগুন আয়ত্তে আনে। এই দোকানের পাশেই বেশ কতগুলো ব্যাঙ্ক রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কীভাবে আগুন লেগেছে ? তা স্পষ্ট না হলেও আগুনে দোকানদার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমনটাই দাবি। হতাহতর কোন খবর নেই।