Jadavpur University Chaos: যাদবপুরকাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ ব্রাত্যর ! 'ওরা শারীরিকভাবে হেনস্থা করতে চাইছিল,..গন্ডগোল করাই লক্ষ্য ছিল?'
Bratya Basu On Jadavpur University: যাদবপুরকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী, কী বললেন ব্রাত্য বসু ?

কলকাতা: WBCUPA-SFI সংঘর্ষে গতকাল রণক্ষেত্রের আকার নেয় যাদবপুর। ঘটনায় আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় জখম হন আন্দোলনকারী ছাত্র । এদিন বাবুল সুপ্রিয় সঙ্গে অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা মনে করালেন। পাশাপাশি যাদবপুরকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি বললেন, 'যাদবপুরে এই ঘটনা নতুন নয়, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।' প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ABVP-র অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বামপন্থী ছাত্রদের বিক্ষোভ, গো ব্যাক স্লোগান। ধাক্কাধাক্কিতে খুলেছিল চশমা। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল জামা। চুলের মুঠি ধরে টান দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ডাকা নিয়ে বাবুল-উপাচার্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবকে করেছিলেন ফোন। যদিও পরে নিজেই গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখ থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে বের করে এনেছিলেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নিগ্রহের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল সেবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্রাত্য বলেন, 'যাদবপুর প্রায় মুক্তাঞ্চলে পরিণত করার চেষ্টা। আমি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছিলাম, চেয়েছিলাম ডেপুটেশন জমা দিক, ওরা দিতে রাজি হল না। ৩০-৪০ জনের একটা গ্যাং ছিল, ওদের চিনি না। এসএফআইয়ের ডেপুটেশন দিয়েছিল, ৪-৫টি অতিবাম কয়েকটি সংগঠন ছিল, তাঁরা বলছিল সবার সঙ্গে একসঙ্গে বসে ডেপুটেশন দিতে হবে, সেটা সম্ভব ছিল না। ওরা শারীরিকভাবে হেনস্থা করতে চাইছিল, টানা অধ্যাপকদের মারধর করেছে। ছাত্র হয়ে অধ্যাপকদের মারছে, এটা দুর্ভাগ্যের।'
আরও পড়ুন, 'কেন গাড়ি আটকাতে গেল?.. যোগীর রাজ্যে করলে হাড়গোড় ভেঙে দিত', যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের !
শিক্ষামন্ত্রী এদিন আরও বলেন, 'আমার গাড়িতে একজন ছাত্র আহত হয়েছে, সেটা অবশ্যই দুঃখের। কিন্তু এতজন অধ্যাপকদের শারীরিকভাবে হেনস্থা, সেটা কোন রুচি বা সংস্কৃতি থেকে আসছে, আমি বিস্মিত। যাঁরা ওখানে নিয়মিত পড়াশোনা করতে চাইছেন সেই পড়ুয়াদের জন্য বিপজ্জনক। ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে চাই, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। মার্চ বা এপ্রিল মাসে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতেই পারতাম। এসএফআইয়ের ছাত্র মানে বিরোধী মনে করি না। বিকাশ ভবনে যখন সময় দিতে চাইলাম এসএফআইকে, তখন তাঁরা রাজি হলেন না। নির্বাচনের তারিখ জানতে চাওয়া উদ্দেশ্য ছিল নাকি গন্ডগোল করাই লক্ষ্য ছিল? ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব', জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
