Jadavpur University: বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পুলিশ আউটপোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত, যাদবপুরের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লালবাজারের
Lalbazar Letter to JU: বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ প্রবেশে দিনকয়েক আগেই বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার যাদবপুরকাণ্ডের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পুলিশ আউটপোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মধ্যে পুলিশ আউটপোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত। ক্যাম্পাসের কোন জায়গায় করা যায় আউটপোস্ট, সেই জায়গা চিহ্নিত করতে চিঠি দিল লালবাজার।
পুলিশ আউটপোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত: ১০ বছর আগে, এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েই পুলিশ ঢোকা নিয়ে শুরু হয়েছিল বেনজির আন্দোলন। প্রতিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল যে, শেষপর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের সামনে মাথা নতি শিকার করতে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ প্রবেশে দিনকয়েক আগেই বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার যাদবপুরকাণ্ডের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পুলিশ আউটপোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার। এই মর্মে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের কোন জায়গায় আউটপোস্ট করা যায়, সেই জায়গা চিহ্নিত করতে বলেছে কলকাতা পুলিশ। এবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটপোস্টে ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ থাকবে।
১ মার্চ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে চলে বেনজির বিক্ষোভ। ভেঙে দেওয়া হয় ব্রাত্য বসুর গাড়ির কাচ। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির বনেটের ওপরে উঠে বসে পড়েন এক ছাত্র। প্রাণপণে চলন্ত গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন আরও এক ছাত্র। শেষ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে পড়ে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়।লগুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।বযা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জলঘোলা কম হয়নি। আর এরই মধ্যে, সোমবার সাদা পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ। ঢুকে যায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ভিতরে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান পড়ুয়াদের একাংশ। আর এর ২ দিন পর, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুলিশ আউটপোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার।
গত মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পরও পুরোপুরি কাটল না জট। পড়ুয়াদের তরফে তাঁদের দাবিদাওয়ার স্মারকলিপি পেশ করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও চূড়ান্ত বার্তা পাননি আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে ফের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছেন পড়ুয়ারা।






















