Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে চিতাবাঘের দাপট, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা
Jalpaiguri News: গ্রামবাসীদের দাবি, মাঝে মধ্যেই গ্রামে ছাগল, হাস, মুরগি পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুদিন ধরেই এই সমস্যা হচ্ছিল। চিতাবাঘের আতঙ্ক আগে থেকেই ছিল গ্রামে।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: এবার চিতাবাঘ (Leopard) আতঙ্ক। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঙ্গা বটতলার ভোটঘাটি গ্রামের বাসিন্দারা এখন বাঘের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোট চা বাগানের মাঝে একটি মৃত বাছুর দেখতে পায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এরপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। বুধবার থেকে ওই বাছুরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যে মাঠে বাছুর (Calf) বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে চা বাগানের ভিতরে মৃত অবস্থায় বাছুরটিকে দেখতে পায় সেই চা বাগানের শ্রমিকেরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, মাঝে মধ্যেই গ্রামে ছাগল, হাস, মুরগি পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুদিন ধরেই এই সমস্যা হচ্ছিল। চিতাবাঘের আতঙ্ক আগে থেকেই ছিল গ্রামে। এদিন মৃত বাছুর দেখে সেই আতঙ্কই খানিক মাথা চাড়া দিয়ে উঠল গ্রামে। অন্যদিকে শোভাভিটা গ্রামে এদিন মৃত ছাগল (Goat) দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, চিতাবাঘ ছাগল টেনে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: Bankura: পর্যটকদের সুবিধার্থে নয়া উদ্যোগ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের, কাজ শুরু করল 'ট্যুরিস্ট পুলিশ'
খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে বনবিভাগের কর্মীরা পৌঁছয়। অভিযোগ উঠছে, গ্রামবাসীরা বনবিভাগের কর্মীদের আটকে রেখে দেয়। আতঙ্ক থেকে রেহাই পেতে গ্রামে খাঁচা পাতার দাবি তুলল গ্রামবাসীরা।
কিছুদিন আগে একরাতে পর পর দু’বার বন দফতরের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে দেখা যায় একটি বাঘকে। ২৩ বছর পর আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) বক্সার (Buxa) জঙ্গলে নিজের অস্তিত্বের জানান দেন বাঘমামা।
ছবি পেলেও এখনও পর্যন্ত, বাঘটির (Royal Bengal Tiger) অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বন দফতর। এই পরিস্থিতিতে বক্সার জঙ্গল সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বন দফতর। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই পম্পা বস্তিতেই থাকেন শ্যাম, অ্যালবার্টদের মতো আরও অনেক পরিবার। বছর পাঁচেক আগে একবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। বাঘের দেখা মেলায় তাঁদের অন্যত্র সরানোর ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে, ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। তাঁরা বলছেন, নায্য আর্থিক সাহায্য বা পুনর্বাসন পেলে, সরে যেতে আপত্তি নেই।