Jalpaiguri: অজানা জ্বরে জলপাইগুড়িতে মৃত্যু আরও এক শিশুর, বাড়ছে উদ্বেগ

পরিবারের অভিযোগ, চিকিত্সক বা নার্স শিশুকে ছুঁয়েও দেখেননি।

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল

রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি:  অজানা জ্বরে ফের জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। এই নিয়ে জেলায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির বাসিন্দা ৪ বছরের শিশুকন্যার গত ২ দিন ধরে জ্বর ও সর্দিকাশির সমস্যা ছিল। গতকাল ময়নাগুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। 

পরিবারের অভিযোগ, চিকিত্সক বা নার্স শিশুকে ছুঁয়েও দেখেননি। ব্যক্তিগত চিকিত্সকের পরামর্শে আজ ভোরে শিশুকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশু বিভাগে করোনা পরীক্ষা চলাকালীনই তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, শিশুর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল, চিকিত্সার সুযোগ মেলেনি। 

পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের করোনা বিষয়ক নোডাল অফিসার জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের পাঁচ ধরনের পরীক্ষা করানো হয়। একজনের ডেঙ্গি ও একজনের কোভিড পজিটিভ ছাড়া বাকিদের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এরপরও ২৫ জন শিশুর সোয়াব পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা ৬ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারের দাবি, ভর্তির সময়ই শিশুটির অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। বহু চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। এই হাসপাতালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত বহু শিশু। কারোর ধুম জ্বর। কেউ ভুগছে পেটের অসুখে। কেউ আবার ঘনঘন বমি করছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপে তিলধারণের জায়গা নেই।

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জেলায় হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে শিশুদের জ্বর-সর্দি উপসর্গ নিয়ে উপচে পড়া ভিড়। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন শিশুকে নিয়ে মায়েরা হাসপাতাল আসছে ডাক্তার দেখাত। ভর্তি গড়ে প্রায় ৩০ জন। এই মুহূর্তে জেলা হাসপাতালে জ্বর,সর্দি, বমি, পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি ৭০ শিশু। জ্বরের ভাইরাস শনাক্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শিশু বিশেষজ্ঞদের।