Kali Puja 2025: দশ মাথা, দশ হাতে ভূত চতুর্দশীতে এমনই রূপে পূজিতা মহাকালী! মা-কে দেখতে ভক্তদের ভিড়
যুবক বৃন্দ কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যার আগের দিন অর্থাৎ ভূত চতুর্দশীতে এই মহাকালী পুজোর আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা।

অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: অমাবস্যায় নয়, ভূত চতুর্দশীতেই পুজোর আয়োজন। এখানে মা দশমাথা, দশ হাত ও দশ পা বিশিষ্ট। বছরের পর বছর ধরে এই রীতি মেনেই পুজো হচ্ছে মালদার চাঁচলে। যা সকলের কাছে ১০ মাথা কালী পুজো নামে পরিচিত কালী পূজার নামে পরিচিত। ভূত চতুর্দশীর রাতে মালদার চাঁচলের পুষ্প সিনেমা হল রোডে মহাধুমধাম সহকারে পূজিত হলেন মহাকালী।
জানা গিয়েছে, এ বছর তাদের পুজো ২৪ তম বর্ষে পা দিয়েছে। প্রয়াত রাজনন্দন সিংহ এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর এই পুজোর হাল ধরেছিলেন প্রয়াত খোকন পান্ডে। খোকন বাবুর মৃত্যুর পর এই পুজোর ভার কাঁধে তুলে নেন তার পরিবার সহ স্থানীয়রা।
যুবক বৃন্দ কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যার আগের দিন অর্থাৎ ভূত চতুর্দশীতে এই মহাকালী পুজোর আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় পুজো। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ ও ঢাকের বাদ্যিতে মুখরিত হয় পুজো মণ্ডপ। এরপর পুজো শেষে চলে আরতি, তারপর যজ্ঞ।
পুজো দেখতে ভিড় করেন শহরের ভক্ত। পুজো শেষে সকলকে খিচুড়ি, অন্নপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য অভিষেক পান্ডে বলেন, পুজোর বয়স এই বছর ২৪ বছরে পা দিল। এখানে দেবী দশ মাথা বিশিষ্ট। প্রতিবছর সকলেই মিলে নিষ্ঠা ও ভক্তির-সঙ্গে মায়ের আরাধনায় মেতে ওঠে।
দীপান্বিতা অমাবস্যায় শক্তির আরাধনা। সতীপীঠ থেকে সিদ্ধপীঠ, নিষ্ঠাভরে দেবী বন্দনা। কামাখ্যা, তারাপীঠ থেকে দক্ষিণেশ্বর...সর্বত্রই এক ছবি। ঠনঠনিয়া থেকে লেক কালিবাড়ী, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি, সকাল থেকে ভক্ত সমাগম। কথিত আছে, মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি। নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার। যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা। বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক। যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন। মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন। শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক। ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী।






















