'অভিযুক্তদের এসি ঘরে বসিয়ে রেখেছিল পুলিশ', তৃণমূল নেত্রীর হাতে মার খাওয়া প্রাক্তন সিপিএম নেতার বড় দাবি!
খড়গপুরের আক্রান্ত প্রাক্তন সিপিএম নেতা অনিল দাস বলেন, 'দেখলাম বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে মেয়েগুলো। উল্টে প্রতিদিন ঘরে ঘুমোচ্ছে। তখন আমি দেখলাম হাইকোর্টের আশ্রয় নেওয়া উচিত।

খড়গপুরে একেবারে ভরা রাস্তার মাঝে প্রাক্তন CPM নেতাকে কিল-চড় ও জুতোপেটা করেছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী। বয়স্ক প্রাক্তন সিপিএম নেতার গায়ে-মাথায় ঢেলে দেওয়া হয় কালি! তবে এবার আক্রান্তের বিরুদ্ধেই তৃণমূলনেত্রীর FIR! যা নিয়ে জল গড়াল হাইকোর্টে। হাইকোর্টে গেলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা।
পুলিশে অনাস্থার জেরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ আক্রান্ত প্রাক্তন সিপিএম নেতা। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা। প্রাক্তন সিপিএম নেতা বলেন, 'আমাকে ও আমার স্ত্রীকে আসামীদের সঙ্গে বসিয়ে অভিযোগ লেখায় পুলিশ। অভিযুক্তদের এসি ঘরে বসিয়ে রেখেছিল পুলিশ। পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।'
খড়গপুরের আক্রান্ত প্রাক্তন সিপিএম নেতা অনিল দাস বলেন, 'দেখলাম বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে মেয়েগুলো। উল্টে প্রতিদিন ঘরে ঘুমোচ্ছে। তখন আমি দেখলাম হাইকোর্টের আশ্রয় নেওয়া উচিত। পুলিশের ওপর ভরসা হারিয়েই আমাকে হাইকোর্টে যেতে হল। আইন আছে, কোর্ট আছে, গ্রেফতার হবে। ভেঙে দিতে হবে জঙ্গলের রাজত্ব।'
প্রাক্তন সিপিএম নেতার দাবি, 'আস্থা তো নষ্ট হবেই, আসামিদের AC ঘরে বসাবে, আমাদের ওখানে কাচের, আসামিদের রুমের মধ্যে বসিয়ে আমাদের জিজ্ঞেস করবে। তখনই তো বুঝে নিতে হবে VIP ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে আসামিদের সঙ্গে।'
এদিকে, এবার আক্রান্তের বিরুদ্ধেই পাল্টা শ্লীলতাহানি, প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর । তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হোক। এই ঘটনার পর আক্রান্ত প্রাক্তন বাম নেতার বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানি সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
প্রাক্তন বাম নেতাকে মারধরের ঘটনায়, শ্রমিক সংগঠনের নেত্রীকে শোকজ করে তিনদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে বলে সোমবারই জানিয়েছিল তৃণমূল। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত শোকজের জবাব দেননি অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী।
এর আগে চূড়ান্ত লজ্জা ও অত্যাচারের ছবি দেখেছিল খড়্গপুর। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বেধড়ক মারা হচ্ছে, তিনি সিপিএমের খড়গপুর জোনাল কমিটির প্রাক্তন সদস্য অনিল দাস ওরফে ভীমকে। আর যাঁকে মূলত মারতে দেখা যাচ্ছে, তিনি খড়গপুর শহরের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-এর সাধারণ সম্পাদক বেবি কোলে।
সব মিলিয়ে খড়গপুরকাণ্ড ঘিরে বিতর্ক ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।






















