Adenoviruses: অ্যাডিনো ঘিরে আতঙ্ক, শিশুরোগীতে ভর্তি হাসপাতাল, নেই পর্যাপ্ত শয্যা!
Kolkata News: অবস্থা সামাল দিতে জেলা থেকে রেফার হয়ে আসা শিশুর সংখ্যা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
কলকাতা: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। গত ২৪ ঘণ্টায় বিসি রায় হাসপাতালে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৮০জন শিশু। এই মুহূ্র্তে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি আনুমানিক ৫০০ শিশু। শয্যার অভাবে একই বেডে রাখা হচ্ছে একাধিক শিশুকে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও ক্রমশ বাড়ছে। অবস্থা সামাল দিতে জেলা থেকে রেফার হয়ে আসা শিশুর সংখ্যা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে চলছে কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ।
বাড়ছে আতঙ্ক: অ্য়াডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই কলকাতায় আরও ৫ শিশুর মৃত্যু। গতকাল রাত থেকে আজ সকালের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫ শিশুর। এর মধ্যে বিসি রায় হাসপাতালে মারা গেছে ৩জন শিশু। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি ২জন শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যমগ্রামের ৬ মাসের শিশুটি সংক্রমিত ছিল অ্যাডিনো ভাইরাসে। বাকি চারজনের মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়। তাদের অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে,এখনও পর্যন্ত বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন শিশুর। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন শিশুর। পিয়ারলেসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
অ্যাডিনো আতঙ্কে শিশুদের নতুন ওয়ার্ড: করোনার ভয়ঙ্কর স্মৃতি উসকে দিচ্ছে অ্য়াডিনো। একের পর এক হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্য়ু মিছিল। কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে, শিশু ভর্তির সংখ্য়াটা হাজারেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে এদিন স্বাস্থ্যভবনে জরুরি বৈঠক হয়।
- সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বেলেঘাটা আইডিতে শিশুদের নতুন ওয়ার্ড করা হবে।
- বিসি রায় হাসপাতালের চাপ কমাতে বেলেঘাটা আইডিতে ৫০ বেডের ওয়ার্ড।
- শিশু বিভাগ থাকা হাসপাতালগুলিকে আরও ২ সপ্তাহ সতর্ক থাকার পরামর্শ।
- ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সরবরাহ নজরদারিতে রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যদফতরের।
- জেলা থেকে অপ্রয়োজনীয় রেফার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের।
- করোনার মতোই কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ।
- শুধু তাই নয় কোনও শিশুর মৃত্য়ু হলে, মৃত্য়ুর কারণ পর্যালোচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: সংঘাতের আবহে উপাচার্যদের রাজভবনে তলব করলেন রাজ্যপাল