Kolkata News:Covid 19 সামগ্রী সরবারহের নামে প্রতারণা, তামিলনাড়ু পুলিশের জালে বঙ্গ সন্তান
Kolkata Covid 19 Fraud Case: Covid 19 সামগ্রী সরবারহের নামে ৪ কোটির প্রতারণাকাণ্ডে নিউটাউন থেকে তামিলনাড়ু পুলিশের হাতে গ্রেফতার এই বঙ্গ সন্তান।
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: Covid 19 সামগ্রী সরবারহের নামে ৪ কোটির প্রতারণাকাণ্ডের পর্দাফাঁস শহরে। নিউটাউন থেকে তামিলনাড়ু পুলিশের হাতে গ্রেফতার স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায়। নিউটাউন সিই ব্লকে গা ঢাকা দিয়ে ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, তামিলনাড়ুর পুলিশ এবং নিউটাউন থানার পুলিশ যৌথ হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আজ তাঁকে বারাসাত আদালতে তুলে ট্রানজিস্ট রিমান্ডে তামিলনাড়ু নিয়ে যাওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এক ব্যবসায়ী তামিলনাড়ু পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় যে, এই স্নেহাশীষ মুখোপাধ্যায় এবং সঙ্গে আরও তিনজন, ওই ব্যবসায়ীকে কোভিডের সামগ্রী সাপ্লাই করার জন্য ৪ কোটি টাকা নেয়। ১০ শতাংশ সামগ্রী সাপ্লাই করলেও বাকি সামগ্রী সাপ্লাই করেনি। বহুবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও এই অভিযুক্তদের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে তাঁদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। প্রতারিত হয়েছে, বুঝতে পেরে ওই ব্যবসায়ী তামিলনাড়ুর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে তামিলনাড়ুর পুলিশ জানতে পারে নিউটাউনে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে মূল অভিযুক্ত স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায়। এরপরেই তামিলনাড়ু পুলিশের একটি টিম নিউটাউন থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিউটাউনের সিই ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। আজ তাঁকে বারাসাত আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে তামিলনাড়ু নিয়ে যাওয়া হবে।
সম্প্রতি গতমাসে একটি প্রতরণাকাণ্ডে প্রকাশ্যে আসে হুগলি জেলাতেও। ব্যবসায়ীর কাজের খোঁজ নিয়ে সেই সূত্র ধরে নতুন কায়দায় প্রতারণা । পণ্য ডেলিভারি করার কথা জানিয়ে ঠিকানা জানতে চেয়ে মোবাইলে প্রথমে লিঙ্ক পাঠানো, তারপর সেই লিঙ্ক ক্লিক করতেই উত্তরপাড়ার ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা সাফ। অনলাইন প্রতারণার (Online Fraud) খপ্পরে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ ব্যবসায়ী রঞ্জিত কর্মকার। তদন্তে উত্তরপাড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার থানা ।
হুগলির উত্তরপাড়ার শিবনারায়ণ রোড এলাকার বাসিন্দা পরিবহন ব্যবসায়ী রঞ্জিত কর্মকার। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাঁর মোবাইল ফোন করে একটি অনলাইন সংস্থার নাম করে বলা হয় পার্সেল ডেলিভারি করতে গিয়ে বাড়ি খুঁজে পাচ্ছে না ডেলিভারি বয়। ঠিকানা জানাতে মোবাইলে ডেলিভারি কোড পাঠানো হচ্ছে। সেখানে ক্লিক করে ঠিকানাটা পাঠিয়ে দিতে বলা হয়। ওই লিঙ্কে ক্লিক করে একটি রেফারেন্স নম্বর পাঠিয়ে দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
ব্যবসার কাজে মাঝেমধ্যেই পার্সেল আসে ব্যবসায়ীর কাছে। তাই প্রতারকদের ফাঁদ বুঝতে না পেরে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন ব্যবসায়ী রঞ্জিত কর্মকার। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রতারকদের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করার পরই ফোনে একাধিক ওটিপি আসতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ব্যবসায়ী দেখতে পান, তাঁর তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। ওই অ্যকাউন্টগুলি বন্ধ করে উত্তরপাড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী।