Dacoity Case: রক্ষকই ভক্ষক! ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল
জানা গিয়েছিল গ্রেফতার পুলিশকর্মী কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন।
কলকাতা: ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল। জুন মাসে মৌলালিতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার ডাকাতির অভিযোগ ওঠে। এর আগে এই ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার হয়েছিল, তারমধ্যে একজন ছিলেন পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছিল গ্রেফতার পুলিশকর্মী কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। ধৃতদের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের (Banksal Court)।
সমাজের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। অথচ এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধেই উঠল ডাকাতির অভিযোগ। অপহরণ ও টাকা লুঠে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল। পুলিশই নাকি ডাকাত! অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত জুন মাসে, মৌলালিতে এক ব্যবসায়ীর থেকে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতির অভিযোগ ওঠে। ব্যবসায়ীর দাবি, তিনি অফিসের কাজে এক জায়গায় যাওয়ার সময় তাঁকে অপহরণ করে ৬-৭ জন। এরপর জোর জবরদস্তি তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় টাকা।
তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে শনাক্ত করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১ পুলিশ কনস্টেবল সহ ৬ জনকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে, খোঁজ মেলে, আরেক কনস্টেবলের। স্পেশাল ব্রাঞ্চের কনস্টেবল দেবাশিস দাস।
মঙ্গলবার, সল্টলেকে আবাসন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ১ লক্ষ টাকা ধৃতকে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
হাওড়ায় ডাকাতি: কিছুদিন আগেই ভয়াবহ ডাকাতি (Robbery) ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। হাওড়া (Howrah) জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া সকালবাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীর (Businessman) বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি ঘটনা ঘটে। পুজোর আগে এহেন ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকায়।
গৃহকর্তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত: এদিন ভোররাতে ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র ডাকাত মুখে গামছা বেঁধে কাপড়ের ব্যবসায়ী সুজিত কাড়ারের বাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় বাড়ির সবাই ঘুমোচ্ছিলেন। ঘরে ঢুকে ডাকাতরা গৃহকর্তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাধা দেওয়ার ক্ষমতা হারায় ওই ব্যবসায়ী। এরপর সাত বছরের ছেলে সৌমাল্য কাড়ারের মাথায় রিভালবার ঠেকিয়ে যাবতীয় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা লুট করে নেয়। তার স্ত্রীর গা থেকে যাবতীয় সোনার গয়না খুলে নেয়।
১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা সোনার গয়না এবং নগদ টাকা লুঠ: ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা সোনার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সকলের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে চম্পট দেয় ডাকাত দল। পরে দাঁত দিয়ে দড়ি কাটার পর চিৎকার চেঁচামেচি করে প্রতিবেশীদের ডাকে সুজিতবাবু। ঘটনাস্থলে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের অভিযোগ জগৎবল্লভপুর থানায় ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেনি। পরে ১০০ ডায়ালে ফোন করলে পুলিশ সুপারের অফিসের নম্বর দেওয়া হয়। সেখানে ফোন করে জানালে বেশ কিছুক্ষণ বাদে পুলিশ আসে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।