(Source: Poll of Polls)
Coal Scam: ৭ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ, ইডি দফতর থেকে বেরোলেন অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা
Manoka Leaves ED Office: দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ধরে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর ।
কলকাতা: দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ধরে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরোলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর (Menoka Gambhir ) । কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) ইডি-র তলব পেয়ে এদিন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স যান অভিষেকের শ্যালিকা।
কেন গতকাল মধ্যরাতেও সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন মেনকা ?
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়েই হয়ে গিয়েছে বিস্তর জলঘোলা। সময় বিভ্রাট নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। কয়লাকাণ্ডেইডির তলবে গতকাল মধ্যরাতে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা।মেনকা গম্ভীরের আইনজীবী জানিয়েছেন, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি AM’-এ তাঁর মক্কেল মেনকা গম্ভীরকে তলব করেছিল ইডি। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই তাঁরা পৌঁছে যান সিজিও বিল্ডিংয়ে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, সিজিওয় ঢোকার মেন গেট তালাবন্ধ।
তলবের সময় নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
কর্তব্যরত এক জওয়ানকে তাঁরা বলেন, আমাদের ডেকেছে, তাই এসেছি। তারপর জওয়ান দরজা খুলে দিতেই তাঁরা হেঁটে ভিতরে ঢোকেন। লিফটে করে পৌঁছে যান ইডির অফিসে। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর নিচে নেমে আসেন। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কী করে একজন মহিলাকে রাত সাড়ে বারোটার সময় তলব করা হয় ? এটা কি আইন অনুযায়ী হয়েছে ? প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল।
মেনকা-র বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ?
এরপর সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন মেনকা গম্ভীর। মূলত, কয়লাকাণ্ডের টাকা পাচারের সময় অভিষেকের শ্যালিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি ইডি-র। এদিন টানা ৭ ঘন্টা চলে মেনকার জিজ্ঞাসাবাদ।তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাইরে বেরিয়ে এদিন কিছু বলতে চাননি তিনি।
আরও পড়ুন,'এত ভয় বিজেপিকে ?' নবান্ন অভিযানের আগে দলীয় কর্মী আটক-এ বিস্ফোরক দিলীপ
অপরদিকে হাইকোর্টের তরফে মেনকা গম্ভীরের ইস্যুতে একাধিক নির্দেশ রয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মেনকা গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে, তা কলকাতাতেই করতে হবে। যখনই প্রয়োজন পড়বে, ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। পাশাপাশি কোনও কঠোর পদক্ষেপ তার বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে না।মূলত মেনকাকে পাসপোর্ট জমা রাখা বা বিদেশ যেতে পারা যাবে না, এধরণের কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি। কিন্তু ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে মেনকাকে আটকেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। এটা আইনসঙ্গত হয়নি বলে অভিযোগ। আদালতের সেই নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছে অর্থাৎ মানা হয়নি বলেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মেনকা গম্ভীর।