Dilip Ghosh: 'আমাকে দেখে অনেকে মর্নিং ওয়াক করছেন', শুভেন্দুর কটাক্ষে পাল্টা দিলীপ
Dilip on Suvendu: শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের জবাবে কী বললেন দিলীপ ঘোষ ?
কলকাতা: 'আমাকে দেখে অনেকে মর্নিং ওয়াক করছেন, সকালে উঠতে দম চাই', শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষের জবাবে পাল্টা দিলীপ । মূলত, হাজরা মোড়ে সভায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মর্নিং ওয়াকে (Morning Walk) গিয়ে যা খুশি বলিনা। যা বলি ভেবেচিন্তেই বলি। করে দেখাই'। আর এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শুভেন্দুর কটাক্ষে পাল্টা দিলীপ
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমাকে দেখে অনেকে মর্নিং ওয়াক করছেন, সকালে উঠতে দম চাই', অনেকের অনেক মত থাকতে পারে। শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাজরা মোড়ে সভা করেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি বলেন, 'আমি শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা। গিমিকে বিশ্বাস করি না।' মনে করান লক্ষ্মণ শেঠকে হারানোর কথাও। শুভেন্দুর কথায়, 'সিপিএমের সূর্য যখন মধ্যগগনে, তখন আমি লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়েছি। তৃণমূলের সূর্য যখন মধ্যগগনে, তখন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। আপনার শুনে রাখুন, পশ্চিমবঙ্গের ধেড়ে ইদুর, বড় ডাকাত জেলের ভিতর যাবেই।' বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ১২ ডিসেম্বরের যে ডেডলাইন তিনি দিয়েছিলেন, সেটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে, ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না। ডিসেম্বর ডেডলাইন নিয়েও নাম না করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, 'মামলা ধামাচাপা দিতে ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল সিবিআই', বিস্ফোরক দাবি লালনের স্ত্রীর
রাজ্য বিজেপিতে অন্তর্কলহ প্রকাশ্য়ে এসেছে বারবার
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপিতে অন্তর্কলহ এই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছে, এমনটা নয়। গত অক্টোবরেই দলীয় সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে তোপ দেগেছিলেন। বলেন, 'বাংলাতে কয়েকটা কয়েকটা আযোগ্যকে বসে, বাংলা জয় করা খুব কঠিন। শুভেন্দু দা, দিলীপ দা লড়ছেন কিন্তু বাকি সব অযোগ্যের ভিড়ে, অযোগ্য নেতৃত্বের বলে চলছে। রাজ্য সভাপতি ভাল ছেলে, ভাল প্রফেসর কিন্তু কোনও মতেই বারবার কমিটি, বারবার লোক বদল করে দেওয়াটা আমার মনে হয় ওঁর অবগত হয়নি। উনি শিক্ষানবিশ আছেন, উনি যখন শিক্ষা পাবেন তখন নিশ্চিতভাবে হয়তো ভাল কিছু হবে।' ছেড়ে দেননি সুকান্তও। পাল্টা জবাব ছিল,'কিছু লোকের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, কিছু না করেই কথা বলা। সেই সমস্ত নেতারা যাঁরা কাজের সময় থাকে না, যাঁদের কোনও দায়িত্ব দিলে পাওয়া যায় না, তাঁরা মিডিয়ার সামনে বড় বড় কথা বলে গলা ফাটান।' দিলীপ-শুভেন্দুর মধ্যেও সেই চাপানউতোরের আঁচ ফের প্রকাশ্য়ে এল হাজরার সভায়, মনে করছেন অনেকে।