Loan Fraud: নাম-পদবী এক হওয়ার মাশুল! কয়েক লক্ষের ঋণ প্রতারণার শিকার হাওড়ার বাসিন্দা, ধৃত ১
Kolkata News: কথায় বলে, নামে কী আসে যায়। কিন্তু সত্যিই যে আসে যায়, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন হাওড়ার অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: একই নামের দুই ব্যক্তি। সেই সুযোগ নিয়ে, ঋণপ্রদানকারী সংস্থা থেকে জাল নথি দিয়ে, অন্যের নামে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ (Loan Fraud)। ঘটনা ফাঁস হতেই সংস্থার তরফে অভিযোগ দায়ের। পুলিশের জালে অভিযুক্ত (Kolkata News)। কিন্তু নামের গেরোয় পড়ে এমন ভাবে প্রতারণার শিকার হতে হবে, ভাবতে পারছেন না ভুক্তভোগী।
ঋণপ্রদানকারী সংস্থা থেকে জাল নথি দিয়ে, অন্যের নামে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ!
কথায় বলে, নামে কী আসে যায়। কিন্তু সত্যিই যে আসে যায়, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন হাওড়ার অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এ যেন আরও এক ভ্রান্তিবিলাস! একই নামের দুই ব্যক্তি। এক জন, অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়, নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা। পেশায় হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের কর্মী। অন্য জন, অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়,গঙ্গার ওপাড়ে হাওড়ার বাসিন্দা। একটি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরত।
আর এই একই নামের সুযোগ নিয়ে হাওড়ার অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে ঋণ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নাগেরবাজারের অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বেসরকারি ঋণপ্রদানকারী সংস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাগেরবাজারের অরিজিৎকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Abhishek on Adhir : "বাংলার টাকা কেন আটকে, সংসদে একদিনও জানতে চাননি", অভিষেকের নিশানায় অধীর
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৫ জানুয়ারি ঋণপ্রদানকারী সংস্থার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের কর্মী পরিচয় দিয়ে জনৈক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। সেই ঋণের টাকায় ল্য়াপটপ, ক্যামেরা এবং ওয়াশিং মেশিনও কিনে ফেলেন তিনি।
কয়েকদিনের মধ্যেই আর এক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় ঋণপ্রদানকারী সংস্থায় এসে জানান, তিনি কোনও ঋণ নেননি, অথচ তাঁর নামে ১৫ লক্ষ টাকার ঋণ দেখাচ্ছে। সংস্থার তরফে নথি যাচাই করে দেখা যায়, হাওড়ার অরিজিতের আধার এবং প্যান কার্ড জাল করে ঋণ নিয়েছেন অন্য অরিজিৎ। যে ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঋণের টাকা ঢুকেছে, তিনি আদতে হাওড়ার বাসিন্দাই নন।
ধৃতের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর আদালত
ধৃতের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর আদালত। ওই ব্যক্তি এই ধরনের আরও কোনও প্রতারণা করেছেন কিনা, তদন্তে খতিয়ে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। গল্পের ভ্রান্তিবিলাসে বিভ্রাটের কেন্দ্রে ছিল একই রকম নাম ও চেহারার মিল।মবাস্তবের ভ্রান্তিবিলাসের কেন্দ্রে একই নামের দুই ব্যক্তি।