Manik Bhattacharya: 'আমি ফ্ল্যাটেই আছি', সিবিআই-র লুকআউট নোটিসের মাঝেই খোঁজ মিলল মানিকের
CBI on Manik Bhattacharya: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। এহেন মুহূর্তে এবিপি আনন্দকে ভিডিও কলে মুখ খুললেন মানিক ভট্টাচার্য।
কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস(Lookout Notice) জারি করেছে সিবিআই (CBI)। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে, এবিপি আনন্দকে ভিডিও কলে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) জানালেন, যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই রয়েছেন তিনি। সিবিআইয়ের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করেছেন, আগামী দিনেও করবেন।
তিনি এদিন ভিডিও কলে বলেন, আমি আমার যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই আছি।এখানেই আছি। কোথাও যাওয়ার প্রশ্ন নেই। কোথাও যাইনি। কেন এই বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তার কোনও সদুত্তর আমার কাছে নেই। কারণ এই বিচারাধিন বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু যেসমস্ত সংস্থা আমাকে যখন যেভাবে, যা সহযোগিতার কথা বলেছে, সেগুলি আমার তরফ থেকে কখনও লঙ্ঘন করা হয়নি। কিন্তু কেন এই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে , আমি জানিনা। আমার স্বাভাবিক জীবনটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।'
মূলত, তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। ১ সপ্তাহ ধরে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা কোনও বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি। সমস্ত বিমানবন্দরে নোটিস দিচ্ছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, এক সপ্তাহ ধরে মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে. কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। মানিকের ফোন সুইচড অফ। কলকাতার ফ্ল্যাট ও নদিয়ার বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি বলেই দাবি সিবিআই-র। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেও পারেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই আশঙ্কা সিবিআইয়ের। তাই খোঁজ না পেয়ে এবার লুক আউট নোটিস জারি করে সিবিআই।
আরও পড়ুন,'আরও অনেকে মিসিং হবেন', মানিকের সিবিআই লুকআউট নোটিস জারি হতেই কটাক্ষ দিলীপের
এয়ারপোর্ট অথরাটি অব ইন্ডিয়ার কাছে মানিক ভট্টাচার্যের ছবি সহ নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, কোন মামলায় সিবিআই তাঁকে খুঁজছে, এবং কোন মামলায় তিনি অভিযুক্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, এমনকী আইনজীবীও জানিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য কোথায় ? তা তাঁরও জানা নেই। মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। ২০১৪ এর প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায়, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় হাইকোর্ট।