Sukanta Majumdar: অনুব্রত যদি একেবার মুখ খুলে ফেলে, তাহলে সব জেলে ঢুকে যাবে: সুকান্ত মজুমদার
Sukanta on Anubrata: অনুব্রত-র পক্ষে গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শাসকদলকে পাশে পাননি পার্থ। আর মুখ খুললে শাসকদলের হেভিওয়েটদের কী হবে, তা নিয়েই এদিন বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার।
কলকাতা: রাজ্যে এই মুহূর্তে শিরোনামে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবং গরুপাচার মামলা। আর হাইকোর্টের নির্দেশে এই দুটি মামলার তদন্তেই রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দুটি মামলায়তেই জেরবার রাজ্যের শাসকদল। কারণ এই দুই মামলাতেই ইতিমধ্যেই জেলে ঠাঁই হয়েছে পার্থ-অনুব্রত-র। এই অবধি পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধু বলেছেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কিন্তু এখনও মুখ খুলে ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত, বলেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে অনুব্রতও এখনও দলের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তবে দুই মামলায় সবচেয়ে বড় পার্থক্য এটাই, অনুব্রত-র পক্ষে গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শাসকদলকে পাশে পাননি পার্থ। আর মুখ খুললে শাসকদলের হেভিওয়েটদের কী হবে, তা নিয়েই এদিন বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস এই মুহূর্তে দোলাচালে আছে। তারা কোন দিকে যাবেন ! কারণ অনুব্রত মণ্ডলকে একেবারে ছেঁটে ফেলা হয়, অনুব্রত মণ্ডল যদি একেবারে মুখ খুলে ফেলে, তাহলে উপর থেকে নিচ অবধি সব জেলের ভিতরে ঢুকে যাবে। তো স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস এখন ব্যালেন্স করে চলছে। ধরি মাছ, না ছুঁই পানি।' সম্প্রতি অনুব্রত-কে নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেন বিজেপির আরও এক হেভিওয়েট নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, '৩-৪ কোটি হাজার টাকার মালিক অনুব্রত। কাঁধে করে গরু নিয়ে পাচার করতেন অনুব্রত, তৃণমূলে সব লোকজন বলত, এমনটাই শুনতাম, বলে জানান বিজেপি নেতা। অনুব্রত-র ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, 'যদি সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি, দিনের শেষে আমরা মানুষ। উনি গ্রেফতার হয়েছেন। আস্তে আস্তে আরও অনেক জিনিস খুলবে। আরও রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে। ততটাই কামাও, যতোটা ভোগ করতে পারবে। উনি এতটাই কামিয়ে ফেলেছেন, মানে আমাদের কাছে এখনও যা কাগজ পত্র জমা পড়েছে, তাতে করে উনি ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মালিক। এটা একটা রোগ। একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা লাগে ! উনি যা উপর্জন করেছেন , এরপরের ১০টা জেনারেশন বসে খাবে। যখন আমি তৃণমূলে ছিলাম, তখন আমি শুনতাম, বলতেন , আমার এক ঘর টাকা হবে।'
আরও পড়ুন, 'কে মিডিলম্যান, কে স্ট্রাইকারে খেলছেন, বোঝা শক্ত', মানিক ইস্যুতে কটাক্ষ শমীকের, পাল্টা শান্তনু
অপরদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়া জন্য যারা উঠে পড়ে লেগেছিলেন, তারা সবাই এই দুর্নীতিতে যুক্ত আছেন।' এদিন তিনি মানিক ইস্যুতে মুখ খুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আরও অনেকে মিসিং হবেন। আরও অনেকে গায়েব হয়ে যাবেন।' তাঁর কটাক্ষ, 'সিবিআই যত হাত বাড়াবে, তত পাড়ায় পাড়ায় গায়েব বাড়বে।' এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। দিলীপ ঘোষের দাবি, 'সবাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।' মূলত, তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। ১ সপ্তাহ ধরে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা কোনও বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি। সমস্ত বিমানবন্দরে নোটিস দিচ্ছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, এক সপ্তাহ ধরে মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে. কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। মানিকের ফোন সুইচড অফ। কলকাতার ফ্ল্যাট ও নদিয়ার বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি বলেই দাবি সিবিআই-র। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেও পারেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই আশঙ্কা সিবিআইয়ের। তাই খোঁজ না পেয়ে এবার লুক আউট নোটিস জারি করে সিবিআই।