Bomb Threat : জঙ্গিরা ক্লাসরুমে বোমা রেখেছে ! শ্রীশিক্ষায়তন থেকে DPS, কলকাতার ৪ নামি স্কুলকে হুমকি, তোলপাড়
কাদের এমন দুর্বুদ্ধি ? কী উদ্দেশ্যে ? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ই-মেলের প্রেরককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঐশী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নববর্ষের আগে আতঙ্ক ছড়ালো শহরের নামিদামি স্কুলে। একসঙ্গে ৪ টি স্কুল পেল বোমা রাখার হুমকি। রাতের ঘুম উড়ল স্কুল কর্তৃপক্ষের। কারা টার্গেট করল স্কুলকে? কেনই বা? ছড়াল আতঙ্ক।
কোন কোন স্কুলকে হুমকি
সোমবার কলকাতার ৪টি বেসরকারি স্কুলে বোমা রাখার হুমকি দিয়ে মেল আসে। সঙ্গে সঙ্গে শঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষিকারা। জানানো হয় পুলিশের দফতরে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড নিয়ে দুপুর থেকে রাত অবধি তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। হুমকি মেল পৌঁছায় লর্ড সিনহা রোডের শ্রী শিক্ষায়তন স্কুলে। পার্ক সার্কাসের মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি, তারাতলার DAV স্কুল এবং কসবার রুবি পার্ক স্থিত দিল্লি পাবলিক স্কুলেও হুমকি - বার্তা আসে ই-মেল মারফত। এই ৪টি স্কুলে মেল পাঠিয়ে বলা হয়, ব্রাজিল সরকারের তরফে জানানো হচ্ছে, দুই জঙ্গি ক্লাসরুমে বোমা রেখেছে। ক্লাস চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। বহু মানুষের জীবনহানিই জঙ্গিদের উদ্দেশ্য।
হুমকি-মেল অতীতেও
হুমকি-মেল পাওয়ার পরেই ওই ৪টি স্কুল তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেয়। তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ ও বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। তবে তেমন কিছুই মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, নাশকতা নয়, ভয় দেখাতেই হুমকি-মেল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কাদের এমন দুর্বুদ্ধি ? কী উদ্দেশ্যে ? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ই-মেলের প্রেরককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও কলকাতার স্কুলে বোমা রাখার হুমকি দিয়ে বার্তা এসেছিল। ঠিক এই বছর খানেক আগের ঘটনা। ২০২৪ এর এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলার প্রায় ২০০টি স্কুলে হুমকিবার্তা আসে। কলকাতার একাধিক নামকরা স্কুলেও এই হুমকি বার্তা পাঠানো হয়। দাবি করা হয়, স্কুলগুলিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। মধ্যরাতের পর একের পর এক স্কুলে এই বার্তা পৌঁছায়। চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলেশের দ্বারস্থ হয় স্কুলগুলি । তদন্তে লালবাজার নিশ্চিত করে, হুমকি ভুয়ো। তবে এই জাতীয় ঘটনা এই প্রথম নয়, এই ধরনের মেল এর আগে , দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই শহরের স্কুলগুলিতেও এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।
তবে নববর্ষের আগে এমন হুমকি মেলের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কেটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। চিন্তায় অভিভাবকরাও।






















