Kolkata News: মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে ফেরার সময় অঘটন, গুলিবিদ্ধ হয়ে দমকলকর্মী খুন !
Kolkata Shootout Case: লেকটাউনের সারদা পল্লিতে প্রকাশ্যে শ্যুটআউট। মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে ফেরার সময় দমকলকর্মী খুন।
কলকাতা: খাস কলকাতায় ফের গুলি, দমকলকর্মী খুন (Murder Case)। লেকটাউনে দমকলকর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে ফেরার সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে। লেকটাউনের সারদা পল্লিতে প্রকাশ্যে শ্যুটআউটের (Kolkata Shootout Case) ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া ওই দমকলকর্মীর নাম স্নেহাশিস রায়। আগেও দমকলকর্মীর উপর হামলা? কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা।
আগেও দমকলকর্মীর উপর হামলা?
বিভিন্ন জায়গা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন যে, এর আগেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, স্নেহাশিস রায়কে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল, দেওয়া হয়েছিল হুমকি। পুলিশের তরফে এর আগেও জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে যে, এর আগে কী ঘটনা ঘটেছিল ? পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ক্যান্টনমেন্টে যে ফায়ার অফিসে তিনি কাজ করতেন, সেখানেও একবার তাঁকে বাইরে ডেকে নিয়ে এসে গুলি চালানো হয়েছিল।
স্নেহাশিসকে আমি চিনতাম : সুজিত বোস
অপরদিকে, দমকলকর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনার, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ উপস্থিত হয়। এসে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক। ঘটনায় এসে সুজিত বোস বলেন, স্নেহাশিসকে আমি চিনতাম। স্নেহাশিসের জন্য আমি ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে আমি বলেছিলাম। তদন্তও হয়েছিল। তবে সেবার এর আগে কেউ গ্রেফতার হয়নি। এটা হয়েছিল অনেকদিন আগে। তারপর ও বলেছিল, সুজিত দা আমি এখানে থাকবো না, তুমি যদি আশে পাশে কোথাও পোস্টিং করে দাও।'
প্রকৃত দোষী কে ? তদন্তে নেমেছে পুলিশ
মূলতই এই ঘটনার পর প্রকৃত কী কারণ জড়িয়ে রয়েছে ? প্রকৃত দোষী কে ? এর আগে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনার জেরেই কি এই ঘটনা ? নাকি অন্য কোনও ঘটনাও জুড়ে রয়েছে ? সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে রাজ্যে ক্রমশ অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। প্রকৃতই এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে আদৌ কোনও অন্য যোগাযোগ রয়েছে কিনা ? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির চক্রান্ত শুভেন্দুর', অভিযোগ কুণালের, পাল্টা নিশীথ
রাজ্যে শ্যুটআউটের ঘটনা নতুন নয়, তবে সেই সকল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রয়েছে রাজনৈতিক যোগাযোগ। তবুও যে কারণেই হোক না কেন, রাজ্যে ঘটে চলা ক্রমবর্ধমান অপরাধের যবনিকা টানতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তবে দমকলকর্মী খুনের পিছনে প্রকৃতই কী কারণ লুকিয়ে এসেছে, তা তদন্তের পর প্রকাশ্যে আসবে।