Malda Lightning Death : বিয়ের ৩ মাসের মধ্যেই বজ্রপাতে সব শেষ ! ছেলে-বউমার দেহ নিতে মর্গের সামনে মা
Lightning Death of Newly Married : কিছুক্ষণেই শুরু হয় প্রবল দুর্যোগ। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, সঙ্গে মেঘে গর্জন। আর তখনই বজ্রপাত কেড়ে নেয় নয়ন ও প্রিয়াঙ্কার প্রাণ।
করুণাময় সিংহ, মালদা : দুপুর হতেই আকাশ কালো করে শুরু হয় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি। মুহুর্মুহু বাজ পড়তে থাকে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে, গাছতলায় আশ্রয় নেন অনেকে। মাঠেও কাজ করছিলেন কেউ কেউ। তখনই বাজ পড়ে প্রাণ হারান ১১ জন। এক ধাক্কায় খানখান হয়ে গেল কয়েকখানা সংসার। সাতপাকে বাঁধা পড়ার ৩ মাসের মধ্যেই প্রাণ চলে গেল নবদম্পতির। বাড়িতে জল জল করছে শুভ বিবাহের লেখাটি। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাণ কেড়ে নিয়েছে নব দম্পতির প্রাণ । বৃহস্পতিবার বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে হরিশচন্দ্রপুরের বাসিন্দা দম্পতি নয়ন রায় ও প্রিয়াঙ্কা রায়ের।
অনেক আশা করে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন। খুশি মনে সংসার করছিল ছেলে-বউ। ঠিক এমন হাসি-খুশি পরিবারই তো চেয়েছিলেন চুনিয়া রায়। কিন্তু তা আর হল কই। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজেদেরই জমিতে ফসল চাষ করতে গিয়েছিলেন ছেলে-বৌমা। হঠাতই কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে । কিন্তু সেই মেঘে বিপদ সঙ্কেত দেখতে পাননি তাঁরা।
কিছুক্ষণেই শুরু হয় প্রবল দুর্যোগ। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, সঙ্গে মেঘে গর্জন। আর তখনই বজ্রপাত কেড়ে নেয় নয়ন ও প্রিয়াঙ্কার প্রাণ। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে স্থানীয় মানুষজন তাঁদের মাঠে পড়ে থাকতে দেখে। চুনিয়া রায় অন্যান্য প্রতিবেশীদের মারফত পান দুঃসংবাদ। তড়িঘড়ি প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেইখানেই স্বামী-স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরপর সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় সন্তানহারা মা-কে। তিনি জানান, আশা করেছিলেন ছেলে বৌমাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকবেন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা ভেঙে দিল সব স্বপ্ন। কখনও ভাবেননি, ছেলে বৌমার মৃতদেহ নিতে আসতে হবে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এখন এই ভয়ংকর বাস্তবটাই মেনে নিতে হচ্ছে।
গত ফাল্গুনেই ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নয়ন ও প্রিয়াঙ্কা। তিন মাসের মধ্যেই ভেঙে তছনছ সবকিছু। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন চুনিয়া রায়।
বৃহস্পতিবার মালদায় বাজ পড়ে মৃতদের মধ্যে ৩ জন মালদার সাহাপুরের বাসিন্দা। ২ জনের বাড়ি গাজোলের আদিনা এবং রতুয়ার বালুপুর এলাকায়। মৃতদের মধ্যে রয়েছে মানিকচকের বাসিন্দা ৮ ও ১১ বছর বয়সি ২ জন নাবালক। অসিত সাহা এবং রাজ মৃধা নামে দশম ও একাদশ শ্রেণীর দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বাজ পড়ে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন হরিশচন্দ্রপুরের বাসিন্দা দম্পতি নয়ন রায় ও প্রিয়াঙ্কা রায় । বাজ পড়ে আহত হয়েছেন ২ জন। বাজ পড়ে আহত হয়েছেন ২ জন।
আরও পড়ুন :