(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Malda : সরকারি স্কুলে বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে ছাত্রের মৃত্যু! হাইস্কুলে ভাঙচুর, মালদায় ধুন্ধুমার
Police : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের শেল। পাল্টা উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হল পুলিশও। মোথাবাড়ি থানার ওসি-সহ ৭ পুলিশ কর্মী আহত হন।
করুণাময় সিংহ, মালদা : মালদার (Malda) মোথাবাড়িতে সরকারি স্কুলে বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে ছাত্রের মৃত্যু! আহত হয়েছে আরও একজন। ছাত্রের মৃত্যুর পরেই মোথাবাড়ির বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ (Police)। পাল্টা জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হলেন মোথাবাড়ি থানার ওসি-সহ ৭জন।
স্কুলেই মৃত্যুফাঁদ!
মালদায় সরকারি স্কুলের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হল ছাত্রের। ঘটনা চাউর হতেই স্কুলে ভাঙচুর। ঘটনা চাউর হতেই স্কুলে ভাঙচুর। ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের শেল। পাল্টা উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হল পুলিশও। মালদার মোথাবাড়ির বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলে ছাত্রের আহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ধুন্ধুমার।
ঠিক কী ঘটনা
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে টিফিন পিরিয়ডের পর বাথরুমে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির জিশান শেখ। সঙ্গে ছিল তাঁর বন্ধু জিশান মোমিন। আচমকাই তাদের উপর পড়ে বাথরুমের দেওয়াল। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। জিশান শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর আহত অবস্থায়, এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরেক ছাত্র জিশান মোমিন।
স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে থেকেই ভগ্নদশায় ছিল দেওয়ালটি। তবে কেন আগেভাগে ব্যবস্থা নিল না স্কুল কর্তৃপক্ষ? কেন প্রাণ দিয়ে মাশুল গুণতে হল ছাত্রকে? তবে কোথায় নজরদারি? এসব প্রশ্ন তুলে স্কুলে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। মালদার অ্যাডিশনাল এসপির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অ্যাডিশনাল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের শেল। পাল্টা উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হল পুলিশও। মোথাবাড়ি থানার ওসি-সহ ৭ পুলিশ কর্মী আহত হন। ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
কিছুদিন আগেই মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার সাহাপুর গ্রামের সাহাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এক বছর আগে তৈরি হওয়া ভবনে ধরে গিয়েছে ফাটল। আতঙ্কে বিদ্যালয়ে আসছে না পড়ুয়ারা। নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী, দেখানো হচ্ছে না সিডিউল, প্রতিবাদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর। যদিও বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।