TMC Leader Death: মালদায় তৃণমূল নেতা খুন, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত
West Bengal News: ১ জন বিহারে পালিয়ে যেতে পারলেও, পালানোর সময়ই ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় গুলিতে ঝাঁঝরা শাসক নেতা। তৃণমূল জেলা সহ সভাপতিকে তাড়া করে খুনের ঘটনায় ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে।
মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনেও সামনে এল বিহার যোগ। বিহার থেকে গ্রেফতার করা হল সুপারি কিলারকে। খুনের ঘটনায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ সামি (২০), আব্দুল গণি (২২) ও ইংরেজবাজারের বাসিন্দা টিঙ্কু ঘোষকে (২২)। ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতাকে খুনের পর, মানিকচক হয়ে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ১ জন বিহারে পালিয়ে যেতে পারলেও, পালানোর সময়ই ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইংরেজবাজারের কানির মোড়ে তৃণমূল নেতাকে খুন করার পর, ডিজেল সেট মোড় দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক ধরে মানিকচক থানার চণ্ডীপুরের দিকে চলে যায় সুপারি কিলাররা। সেখানে নাকা চেকিংয়ের সময় সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। অন্যদিকে বিহার থেকে আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার তৃণমূল নেতাকে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল অনেকদিন আগে থেকেই। প্রায় ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে মালদায় ঘাঁটি গেড়েছিল সুপারি কিলাররা। ক্রিসমাস কার্নিভাল চলাকালীনই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু কার্নিভালে বহু মানুষের জমায়েতের কারণে ভেস্তে যায় খুনের ছক। তৃণমূল নেতার প্রত্যেক মুহূর্তের গতিবিধি রেকি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তিনি কোথায় যান? কখন যান? পুরোটাই নখদর্পণে চলে এসেছিল সুপারি কিলারদের।
প্রতিদিন মহানন্দা পল্লির বাড়ি থেকে বেরিয়ে কানির মোড়ে নিজের কার্যালয়ে যেতেন দুলাল সরকার। এরপর সেখান থেকে যেতেন মহানন্দা পল্লিতে তাঁর পাইপ ফ্যাক্টরিতে। সেখান থেকে ফিরে আসতেন কানির মোড়ে নিজের কার্যালয়ে। আর দিনের মধ্যে একমাত্র এই সময়টাই একা থাকতেন দুলাল সরকার। কখনও নিজে স্কুটি চালিয়ে যেতেন, কখনও আবার যাতায়াত করতেন নিজের গাড়িতে। সঙ্গে থাকতেন গাড়ির চালক। আর তৃণমূল নেতার দৈনন্দিন এই রুটিন কার্যত জলের মতো মুখস্থ হয়ে গেছিল সুপারি কিলারদের কাছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই সুযোগটাই নেয় দুষ্কৃতীরা।
নিজের গাড়িতে করে কানির মোড়ের কার্যালয় থেকে মহানন্দা পল্লির পাইপ ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। তখনই মোটর বাইকে করে তাঁর পিছু নেয় দুষ্কৃতীরা। একটি বাইকেই ছিল ৪ জন দুষ্কৃতী। বাইকে ছিল না কোনও নম্বরপ্লেট। কারও মাথায় ছিল না হেলমেটও। মুখ ঢাকা ছিল ৪ জনেরই। তৃণমূল নেতা পাইপ ফ্যাক্টরির কাছে গাড়ি থেকে নামতেই চালানো হয় গুলি। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় প্রথম গুলি। দৌড়ে পালিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। তাঁকে ধাওয়া করে দোকানে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরাও। মৃত্যু নিশ্চিত করতে, তৃণমূল নেতার মাথায় গুলি করা হয়।
আরও পড়ুন: Potato Price Hike: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই তৎপরতা, বাজারে টাস্ক ফোর্সের অভিযা