Mamata Banerjee: 'আইন কখনও হাতে তুলে নেবেন না', ওয়াকফ অশান্তির মধ্যেই কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াক উদ্বোধনে বার্তা মমতার
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আইন কখনও হাতে তুলে নেবেন না। আইন রক্ষার জন্য আইনের রক্ষকরা আছে। আইনের ভক্ষক হওয়ার কী দরকার? কারও কথায় প্ররোচিত হবেন না। শান্তি বজায় রাখুন।'

কলকাতা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় অশান্তির চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে ভাঙড়- সপ্তাহের শুরুতেই দিকে দিকে বিক্ষোভ। সোমবার পয়লা বৈশাখের কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াক উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান থেকে দিলেন সম্প্রীতি-শান্তির বার্তা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ধর্ম যাঁর যাঁর, উৎসব সবার। অন্য অনুষ্ঠানে গেলে আমার পদবি পাল্টে দেওয়া হয়। আমি যে কোনও ধর্মের পাশে দাঁড়াই। শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। তবে আইন কখনও হাতে তুলে নেবেন না। আইন রক্ষার জন্য আইনের রক্ষকরা আছে। আইনের ভক্ষক হওয়ার কী দরকার? কারও কথায় প্ররোচিত হবেন না। শান্তি বজায় রাখুন।'
এদিন স্কাইওয়াকের পাশাপাশি হকার্স কর্নারের উদ্ধোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণি স্কাইওয়াক তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দক্ষিণেশ্বরের আদলে কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। এসপি মুখার্জি রোড থেকে কালীঘাট টেম্পল রোড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশো মিটার লম্বা একটি স্কাইওয়াক তৈরির বরাতও দেওয়া হয়। পয়লা বৈশাখের উপহারস্বরূপ কালীঘাটে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন স্কাইওয়াকের দরজা।
কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণে প্রাথমিক বাজেট ছিল ৭৭ কোটি টাকা। তবে কাজের বিলম্বের কারণে খরচ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৯০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া এই স্কাইওয়াকটি পুণ্যার্থীদের মন্দিরে পৌঁছোনোর পথ সহজ করবে।
এদিকে, মুর্শিদাবাদে অশান্তির আগুন নেভার আগেই ভাঙড়ে আগুন। জঙ্গিপুর, আমতলার পর এবার কলকাতা পুলিশই আক্রান্ত। ভাঙড়ে আক্রান্ত কলকাতা পুলিশ, গাড়ি ভাঙচুর, বাইকে আগুন। শোনপুরে ঢুকতে না দেওয়ায় বিক্ষোভ ঘটকপুকুরে, অবরোধ। ঘটকপুকুরে আইএসএফের অবরোধ, আটকে পড়লেন সওকত। ভাঙড়ের শোনপুরে পুলিশের ৫টি বাইকে আগুন। কলকাতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তার উপর জ্বলছে পুলিশের ৫টি বাইক। কলকাতা পুলিশের গাড়ি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় উল্টে পড়ে আছে পুলিশের প্রিজন ভ্যান।
অন্যদিকে, উত্তর কাশীপুর থানার অন্তর্গত ভাঙড়ে শোনপুরে গাড়ি-বাইকে আগুন লাগায় বিক্ষোভকারীরা। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়েতে বিক্ষোভকারীদের বাধা, ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ভাঙড়ের বালিগাদায় রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ চলে। এত পুলিশ থাকা সত্বেও কীভাবে পুলিশের বাইকে আগুন, গাড়িতে ভাঙচুর ? উঠছে সেই প্রশ্নই। ভাঙড় এখন কলকাতা পুলিশের অধীনে, তাও কীভাবে নজর এড়িয়ে হামলা দুষ্কৃতীদের ? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।






















