(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mamata Banerjee News: 'গরিবের দল তৃণমূল' বৈভব কমিয়ে নবীন-প্রবীণ সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা মমতার
সূত্রের খবর, এ দিন ১ ঘণ্টার বৈঠকে ২৫ মিনিটের ভাষণে তৃণমূলনেত্রী বলেন, বাংলায় ক্ষমতা অটুট রেখে জাতীয় স্তরে বিরোধী শক্তি বাড়াতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি নয়, দলের প্রচার করতে হবে।
কলকাতা: ‘নতুনদের প্রয়োজন, কিন্তু মনে রাখতে হবে ওল্ড ইজ গোল্ড,’ তৃণমূলের (TMC) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বার্তা দিলেন মমতা। এদিন কর্মসমিতির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন 'গরিবের দল তৃণমূল কংগ্রেস, বৈভব কমাতে হবে, নবীন-প্রবীণ সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। দলে নতুন-পুরনোদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে চলতে হবে। সূত্রের খবর, এ দিন ১ ঘণ্টার বৈঠকে ২৫ মিনিটের ভাষণে তৃণমূলনেত্রী বলেন, বাংলায় ক্ষমতা অটুট রেখে জাতীয় স্তরে বিরোধী শক্তি বাড়াতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি নয়, দলের প্রচার করতে হবে। উল্লেখ্য, তৃণমূলে আরও গুরুত্ব বাড়ল ফিরহাদ, অরূপ বিশ্বাসের।
আরও পড়ুন: Bidhannagar Mayor: বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত
উল্লেখ্য, তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকলেন অভিষেকই। অভিষেককে রেখেই জাতীয় স্তরে তৃণমূলের একাধিক কমিটি। তৃণমূলের (TMC) সহ সভাপতি যশবন্ত সিন্হা, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কমিটির মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম, কোষাধ্যক্ষ অরূপ বিশ্বাস। নীতি নির্ধারণ কমিটিতে যশবন্ত সিন্হা, অমিত মিত্র। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হল সুখেন্দুশেখর রায়কে।
রাজ্যসভার অধিবেশনে মুখপাত্র হলেন সুখেন্দু, লোকসভায় কাকলী ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হল সুখেন্দু, কাকলী, মহুয়া মিত্র। ডেপুটি মেয়র গসিমুল হক, অভিজিৎ ঘটক। বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি অনিতা মণ্ডল। চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। আসানসোলের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি ওয়াসিমুল হক, অভিজিৎ ঘটক।
কালীঘাটে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি বৈঠক শেষ। এ দিন জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে পরপর ৩টি আলাদা বৈঠক করেন মমতা। সূত্রের খবর, বৈঠক শুরুর কিছু আগে অভিষেকের সঙ্গে কথা বললেন মমতা। এর পরে অভিষেক, মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে অভিষেক, ফিরহাদ, মলয়ের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলনেত্রী। আজই জাতীয় স্তরের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণার সম্ভাবনা ছিলই। তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে আনা একাধিক রদবদলের জল্পনা ছিল।