Mamata Banerjee: ‘মাথা নত করে মানুষের কাছে যেতে হবে’, নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের বার্তা মমতার
Mamata Banerjee Message to Councilor: এদিন নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, "মাথা নত করে মানুষের কাছে যেতে হবে। কলকাতা-রাজারহাট-নিউটাউনের মতো শিলিগুড়িকে আধুনিক করতে হবে।"
শিলিগুড়ি: আজ শিলিগুড়িতে মমতার সঙ্গে দেখা করলেন জয়ী কাউন্সিলররা। সোমবারই পুরভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। চার পুরসভার চারটিতেই জিতেছে তৃণমূল। কাল ফল প্রকাশের পরই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, "মাথা নত করে মানুষের কাছে যেতে হবে। কলকাতা-রাজারহাট-নিউটাউনের মতো শিলিগুড়িকে আধুনিক করতে হবে। মানুষকে নিয়ে মানুষের পাশে থেকে এই কাজ করতে হবে।
সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভা জয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির ভাবী মেয়র হতে চলেছে গৌতম দেব। এদিকে, উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ উত্তরকন্যায় আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বৈঠকে দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক সহ সচিব, আধিকারিকরা। এই বৈঠকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরাও।
আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের এই বৈঠকে যোগ দিলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন কলকাতায় থাকায় যেতে পারছেন না। পাঠানো হচ্ছে ২ প্রতিনিধিকে। বৈঠকের পর কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের হাতেই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ঘটেছে বলে জয়ের পরই জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির সঙ্গে ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। শিলিগুড়ি বিমানবন্দরে রাতের বেলা বিমানের অবতরণ থেকে শুরু করে সেটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। বড় বড় রাস্তা, উড়ালপুল, ভোরের আলো প্রক্লপ, তিস্তা টাউন, কোচবিহার হেরিটেজ টাউন, প্রচুর পদক্ষেপ করেছি আমরা।’’
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিলিগুড়ি বামেদের হাতে ছিল। পরবর্তী কালে সেখানে নিজেদের ভিত মজবুত করতে সক্ষম হয় বিজেপি। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে সবু ঝড়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিরোধী পক্ষের সব দল। মমতার কথায়, ‘‘বিজেপি কখনও সিপিএম-কে ভোট দিয়ে দেয়, আবার সিপিএম কখনও বিজেপিকে। বিজেপি কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে দেয়, কংগ্রেস আবার বিজেপি-কে। জগাই-মাধাই-গদাইয়ের মধ্যে ভোটের বোঝাপড়া রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম এবং কংগ্রেস বিজেপি-কে ভোট দিয়ে দিয়েছিল। লোকসভাতেও তাই। এখন নিজেদের সামলাতে পারছে না।’’
শিলিগুড়িতে সবুজ আবির উড়তে দেখে মতার একটাই বক্তব্য, ‘‘কাউেক না কাউকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ হতেই হবে। কারও না কারও জামানত বাজেয়াপ্ত হবেই। আমি আমাদেরটা নিয়েই থাকতে চাই। সিপিএম ওখানে কিছু করেনি। মানুষকে উস্কে দেওয়া, বিজেপি-র মতো প্ররোচনা দেওয়ার কাজ করেছে। মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। তিরিশ বছর তা দেখেছেন মানুষ। শুধু নেতিবাচক রাজনীতি করে গিয়েছে।’’