Manik Bhattacharya: হাজিরার সময় পার, থানায় ডায়েরিও, শেষমেশ দিল্লিতে 'খোঁজ' মিলল মানিকের
CBI: মানিক যে দিল্লিতে রয়েছেন, তা মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির সময়ই জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী।

কলকাতা: হাইকোর্টের সময়সীমা পার। অথচ দেখা নেই তাঁর। তাই সটান থানায় দায়ের হয় ডায়েরি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) 'নিখোঁজ' বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু অবশেষে দিল্লিতে 'খোঁজ' মিলল তাঁর। সেখানে বঙ্গভবনের ৫১২ নম্বর ঘরে রয়েছেন তিনি। এবিপি আনন্দের ক্যামেরার সামনে এলেন তিনি।
মানিক যে দিল্লিতে রয়েছেন, তা মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানির সময়ই জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী। জানিয়েছিলেন, এই মামলার জন্যই দিল্লিতে রয়েছেন মানিক। তার পর ১৬ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। পার হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)বেঁধে দেওয়া হাজিরা দওয়ার ডেডলাইনও। এখনও নিজাম প্যালেসে পৌঁননি মানিক। তার মধ্যেই দিল্লিতে 'খোঁজ' মিলল তাঁর।
মানিকের খোঁজ না পেয়ে এ দিন থানায় জেনারেল ডায়েরি করেন আদালত নিযুক্ত অ্যাসিস্টান্ট পুলিশ কমিশনার। যদিও হাজিরার বিষয়টিও গতকাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে উল্লেখ করেন মানিকের আইনজীবী। বুধবার মামলাটির শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সহযোগিতা না করলে, CBI তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেননি মানিক। সুপ্রিম কোর্ট থেকে একদিনের রক্ষাকবচ পেয়েছেন তিনি। বুধবার পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সিবিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টা নাগাদ চিঠি নিয়ে তাদের দফতরে পৌঁছন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির আইনজীবী। দুই পাতার চিঠিতে মানিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আজ দুপুর ২টোয় শুনানি রয়েছে। তাই তিনি দিল্লিতে আছেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে একদিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে বলেও চিঠিতে সিবিআই-কে জানান মানিক।
টেটে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটেও, মানিক ভট্টাচার্যের যোগসূত্রের কথা বলেছে ED। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মেসেজ করেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। সেখানে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বেসরকারি বি এড কলেজ থেকে টাকা তোলা, হুমকি দেওয়া, ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ ছাড়া নদিয়ার TET’এর মাস্টার শিট চেয়ে চেয়ারম্যানকে চাপ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, মানিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বদলে তাঁকেই অভিযোগ সম্বলিত মেসেজটি পাঠান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।





















