Waqf Bill Violence Case Verdict: সামশেরগঞ্জে হরগোবিন্দ-চন্দন দাস খুনে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Murshidabad Waqf Violence Case: সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, মৃতের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

রাজীব চৌধুরী, পার্থপ্রতিম ঘোষ, মুর্শিদাবাদ: গত ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদের দুই বাসিন্দা, হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে, উত্তেজিত জনতা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। আজ সেই সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ জঙ্গিপুর মহাকুমা আদালতের। মৃতের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হল-
১. দিলদার নদাব (২৮)
২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭)
৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭)
৪. জিয়াউল হক ( ৪৫)
৫. ফেকারুল শেখ ওরফে মহক ( ২৫)
৬. আজফরুল শেখ ওরফে বিলাই (২৪)
৭. মণিরুল শেখ ওরফে মণি (৩৯)
৮. একবাল শেখ (২৮)
৯. নুরুল ইসলাম ( ২৩)
১০. সাবা করিম (২৫)
১১. হযরত শেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬)
১২. আকবর আলী ওরফে একবর শেখ ( ৩০)
১৩. ইউসুফ শেখ (৪৯)
১২. আকবর আলী ওরফে একবর শেখ (৩০)
১৩. ইউসুফ শেখ (৪৯)
হুবহু মিলে গিয়েছে : ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ
এক্স হ্যান্ডেলে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ পোস্ট করে জানিয়েছে, তদন্তের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগুল ম্যাপস লোকেশন ভিশ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে, অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা, হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায়, তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ প্রস্থান পথ স্পষ্টভাবে, প্রমাণ হয়েছে। অভিযুক্তদের হাঁটার ধরণ বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait Pattern Analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরণের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে।
১০০ এরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে : এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেছেন, এটা ২১০ নং কেস, হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খুনের। ওখানে যেহেতু ১১ এবং ১২ তারিখ অশান্তি হয়েছিল, সুতরাং, ১০০ এরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রত্যেকটি কেসই অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে তদন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক কেস খুব দ্রুত কনভিকশন হবে বলে আমরা আশা করছি। প্রত্যেকটি কেসেরই মনিটেরিং চলছে। প্রত্যেকটি কেসে আমাদের চার্জশিট জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এটা ছিল খুনের মামলা।
' আমাদের দুটোই অপশন খোলা ছিল, যাবজ্জীবন অথবা ডেথ, কিন্তু..'
সকাল থেকে বিভিন্নভাবে আসামিপক্ষ এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীরা তাঁরা শেষমুহূর্ত অবধি সওয়াল করেন। একে একে তাঁদের বক্তব্য শোনার পরে ১৩ জনকে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত। এছাড়াও অন্যান্য সাজাও ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ৩৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ গ্রহণ করা হয়েছে। এবং সাক্ষ গ্রহণ করার পরে, আজকে এই রায় ঘোষণা করে আদালত। আইনজীবী বিভাষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন জাজমেন্টগুলি দাঁড় করিয়েছি, কিন্তু জাজমেন্ট তো আমাদের হাতে থাকে না। কিন্তু আমরা এটা বিতার করে দেখব, সরকারের তরফে কী হয়, তারপরে আমরা ডিসাইড করব। তবে অখুশি আমরা নই।কারণ আমাদের দুটোই অপশন খোলা ছিল, যাবজ্জীবন অথবা ডেথ (Death). কিন্তু ডেথ সেনটেন্স নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যত জাজমেন্ট দিয়েছে, ডেথকে নেগেট করছেন, ডেথ সেনসেন্সে যেতে বারণ করছেন।






















