Nadia: নদিয়ায় নিহত বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে সিবিআই
সিবিআই আধিকারিকরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ
প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: চাপড়ায় নিহত বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলের খুনের তদন্তে আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যান সিবিআই অফিসাররা। তল্লাশি চলাকালীন বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সিবিআই বিজেপির হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করছে।
সিবিআই আধিকারিকরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এর জেরে গ্রামবাসীরাই ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপির প্রতিক্রিয়া, হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এরপরও বিক্ষোভ দেখানোর অর্থ, তৃণমূল আদালত অবমাননা করছে।
গতকাল ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে কৃষ্ণনগরে যায় সিবিআই। ১৪ জুন, ভোরবেলা খুন হন কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা মণীন্দ্র পল্লির বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল। অভিযোগ, বাড়ি থেকে কোপাতে কোপাতে বাইরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
খুনের তদন্তে আজ নিহতের বাড়িতে যান সিবিআই অফিসাররা। সিবিআইয়ের দাবি, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনার তদন্তে যোগ হয়েছে এই মৃত্যুর মামলা। সিবিআই সূত্রে খবর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ৪১টি মামলার উল্লেখ ছিল। তার মধ্যে ২৯টি খুন ও ১২টি নারী নির্যাতনের মামলা। সিবিআই সূত্রে খবর, এ ছাড়াও আরও ৩৬টি অভিযোগ তারা চিহ্নিত করেছে, যা খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের মনে হয়েছে এই সমস্ত ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে কাঁকুড়গাছিতে মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সামনেই কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার দুই অফিসারকে চিহ্নিত করে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা। এ দিন কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল।
বুধবার সিবিআইয়ের কাছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার দুই আধিকারিককে চিহ্নিত করে, সাদা কাগজে সই করার জন্য তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা। প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও-ও CBI-এর হাতে তুলে দিয়েছে নিহতের পরিবার।
এর পর বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার ওই দুই আধিকারিক তাঁদের বাড়িতে গেলে, আপত্তি জানান নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা। শেষ পর্যন্ত ফিরে যান কলকাতা পুলিশের ওই দুই আধিকারিক।
পাশাপাশি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে ভাটপাড়া, কৃষ্ণনগর, চাপড়া, সংগ্রামপুর, কোতুলপুরে সিবিআই টিম। নিহতদের পরিবারের বয়ান রেকর্ড। সংগ্রহ ভিডিও ক্লিপ, নথি। আরও ৩৬টি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।