Nadia: সন্দেহের বশে তুমুল অশান্তি দম্পতির, ৭ বছরের শিশুকন্যাকে মেরে একই দড়িতে আত্মঘাতী বাবা
Nadia News: জানা যাচ্ছে, পেশায় পুলিশকর্মী ওই ব্যক্তি বর্তমানে বেলঘড়িয়া জিআরপি ফাঁড়িতে এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীয়ের সন্দেহবাতিক ছিল বলে অভিযোগ।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: স্বামী স্ত্রীর (Husband and Wife) পারিবারিক কলহের জের। তারই মর্মান্তিক পরিণতি স্বরূপ মাত্র ৭ বছরের শিশুকন্যাকে (girl child) গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে, নিজেও একই দড়িতে আত্মহত্যা (suicide) করলেন এক জিআরপি পুলিশকর্মী (GRP Officer)। নদিয়ার (Nadia) চাকদার বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) ঘটনা।
মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী নদিয়া
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া ঝামেলার জেরে মর্মান্তিক পরিণতি হল তাদের ৭ বছরের শিশুকন্যার। মেয়ের গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে সেই দড়িতেই আত্মঘাতী (suicide) হলেন জিআরপি পুলিশকর্মী। এই ঘটনার নিদর্শন রইল নদিয়ার চাকদার বিষ্ণুপুরে। মৃতের নাম জয়ন্ত সর্দার। বয়স ৩৬।
জানা যাচ্ছে, পেশায় পুলিশকর্মী ওই ব্যক্তি বর্তমানে বেলঘড়িয়া জিআরপি ফাঁড়িতে এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীয়ের সন্দেহবাতিক ছিল বলে অভিযোগ। আর তার জন্য প্রায়ই অশান্তিও লেগে থাকত দু'জনের মধ্যে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর
জানা যায়, আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে মৃত পুলিশকর্মীর স্ত্রী (Wife), তার মা (mother) এবং শাশুড়িকে (mother in law) নিয়ে চাকদায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে বেলঘড়িয়ায় (Belgharia) এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সে কথা জানতে পারার পর জয়ন্তর সঙ্গে তার স্ত্রীর মোবাইলে বাদানুবাদ হয়। তারপরেই ঘরের মধ্যে ঢুকে একই দড়িতে প্রথমে মেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে তারপর নিজে ঝুলে পড়েন।
আরও পড়ুন: Kolkata Municipal Corporation: মেয়র পারিষদদের ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত, বিতর্কে কলকাতা পুরসভা
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর তারা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা তার আরও তদন্ত (investigation) করছে চাকদা থানার পুলিশ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্ত্রী মৌসুমী সর্দারকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।