Nadia: নদিয়ায় ২২ জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার তৃণমূলের, যখন যাকে দরকার ব্যবহার করে, কটাক্ষ বিজেপি-র
Municipal Election 2022: শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তার পরই বিক্ষুব্ধ নেতা ও নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে তৃণমূল। নদিয়ায় ২২ জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সুজিত মণ্ডল, কৃষ্ণনগর: পুরভোটে (Municipal Election) প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের (AITC) নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ, নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করার ঘটনা দেখা গিয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের কড়া বার্তার পরেও ছবিটা বদলায়নি। এবার বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করল রাজ্যের শাসক দল।
নদিয়া (Nadia district) জেলার ৬টি পুরসভার ২২ জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে। বৃহস্পতিবারই কৃষ্ণনগর পুরসভার (Krishnanagar Municipality) ১১ জন, বীরনগরের ৫ জন, রানাঘাট ও শান্তিপুরে ২ জন করে এবং কল্যাণী ও তাহেরপুরে ১ জন করে নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন রানাঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর অধিকারী এবং তাঁর স্ত্রীও।
নদিয়া জেলায় এবার ১০টি পুরসভায় ভোট হবে। তার আগে ৬টিতেই নির্দল হিসেবে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধদের দল থেকে সরাল ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন টিকিট না পেয়ে গোঁজ প্রার্থী হওয়ার হিড়িক, পুরভোটের আগে অস্বস্তি বিজেপি-তেও
এবারের পুরভোটে টিকিট না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে চলে বিক্ষোভ। দল প্রার্থী না করলেও, কেউ কেউ নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। পুরভোটের মুখে তৃণমূলকে এভাবেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বহু বিক্ষুব্ধ নেতা ও নির্দল প্রার্থী। এরপরই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নির্দলদের ভোটের লড়াই থেকে বিরত থাকার জন্য বেঁধে দেওয়া হয় ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা।
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী রত্না ঘোষ কর জানিয়েছেন, ‘দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে, রানাঘাটে দু’জনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।’
রানাঘাটের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর অধিকারীর দাবি, ‘আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। আমি রাজ্যের সব পরিষেবা দিয়েছি। মানুষ চেয়েছে তাই স্ত্রী নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
নির্দলদের বহিষ্কার করা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা ওদের কোন্দল। দলে কোনও সংগঠন নেই। যখন যাকে দরকার তখন তাকে ব্যবহার করে। মানুষকে নিয়েই আমরা জিতব।