TMC Leader Killed : ভরা বাজারে তাড়া করে তৃণমূল নেতাকে খুন নদিয়ায় ! প্রবল চাঞ্চল্য
Nadia Killing:দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়ে প্রাণভয়ে পালানোর সময় কার্যত তাড়া করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যু।স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে এসে হামলা চালায়।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : প্রকাশ্য দিবালোকে ভরা বাজারের মধ্যে প্রথমে গুলি। তারপর তাড়া করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি একাধিক গুলি। নদিয়ার হাঁসখালিতে এভাবেই দুষ্কৃতীরা খুন করল তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader Killed)। নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়া গ্রামে হাড়হিম করা ঘটনা। আর যে ঘটনার জেরে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। নিহত তৃণমূল নেতার নাম আমোদ আলি বিশ্বাস (৪৫)।
আর পাঁচটা দিনের মতো সকালে বাকিদের মতোই বাজারে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ-সভাপতি পদে ছিলেন খুন হওয়া তৃণমূল নেতা আমোদ আলি বিশ্বাস। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তখনই তাঁকে এসে বাইরে ডাকে কয়েকজন। ওই তৃণমূল নেতা দোকানের বাইরে বেরিয়ে এলেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়ে প্রাণভয়ে পালানোর সময় কার্যত তাড়া করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যু। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে এসে হামলা চালায়। কারা গুলি চালাল ? ঘটনার নেপথ্যে কি রয়েছে কৌনও রাজনৈতিক যোগ ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যে বাড়ছে একাধিক অশান্তি, খুনের ঘটনা। তৃণমূল নেতাকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, কোথায় নিরাপত্তা সাধারণ মানুষের। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা খুনের পর শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর।
যে ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'এই ঘটনা যারাই ঘটাক কেউ পার পাবে না। দৃষ্কৃতীরা শাস্তি পাবে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে বিরোধীরা ততই উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছে। ভাড়াটে খুনি নিয়ে আসছে। বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এই বাংলা শান্তির বাংলা, যারা চেষ্টা করছেন বাংলাকে অশান্ত করতে, তাদের মানুষ ছুড়ে ফেলবে।' পাল্টা বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস এমনভাবে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গেছে, যে পঞ্চায়েতের আগে ক্ষমতা দখল, নিয়ন্ত্রণের জন্য ভেদাভেদ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে কেউ কাউকে প্রকাশ্যে এভাবে মারতেও ভয় পাচ্ছে না। দুষ্কৃতীরা বুঝে গেছে বাংলার প্রশাসনের কোনও শাসন নেই।' কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কথায়, 'রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, এই সরকারকে উৎখাত করা ছাড়া যেখানে কোনও উন্নতি সম্ভব নয়।'
আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা বাসের, চিংড়িঘাটায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, জখম বেশ কয়েকজন