Midnapore Municipality: 'পুর' অনাস্থা ? মহকুমা শাসকের দফতরে ১০ জন বিক্ষুদ্ধ TMC কাউন্সিলর
Midnapore TMC Councilor: মহকুমা শাসকের দফতরে গেলেন ১০ জন বিক্ষুদ্ধ কাউন্সিলর। তবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়েই তাঁরা মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন কিনা, জল্পনা জিইয়ে রাখল তৃণমূল
সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর:মেদিনীপুর পুরসভায় আরও জোরালো হচ্ছে জট। বুধবার মহকুমা শাসকের দফতরে গেলেন ১০ জন বিক্ষুদ্ধ কাউন্সিলর। তবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়েই তাঁরা মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
কেন বারবার সুব্রত বক্সীর ডাক 'উপেক্ষা' করছেন দলীয় বিধায়ক থেকে পদাধিকারীরা? দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব মেটাতে কেন শীর্ষস্থানীয় নেতার ওপর 'ভরসা' রাখতে পারছেন না তাঁরা? দলের সঙ্গে কথা না বলেই কি মেদিনীপুর পুরসভায় আনা হচ্ছে অনাস্থা প্রস্তাব? মেদিনীপুর পুরসভার টানাপোড়েন ঘিরে, এবার উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্নই। জল্পনা বাড়িয়ে, বুধবার মেদিনীপুরের মহকুমা শাসকের অফিসে হাজির হলেন ১০ জন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর।
তবে কি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে এসেছিলেন তাঁরা? মেদিনীপুর পুরসভা চেয়ারম্যান বলেছেন ,'আমার কোনও বক্তব্য নেই। যা দল আমাকে সিদ্ধান্ত জানাবে, দলের নির্দেশ যা পাব তেমনই হবে।'এই নিয়ে জল্পনা অবশ্য জিইয়েই রাখল দলীয় নেতৃত্ব। মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান ১০ জন কাউন্সিলর। দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ,
অন্যদের অন্ধকারে রেখে একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ,ফান্ডের অসম বণ্টন,উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ টাকায় মোচ্ছবসহ,তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমনই সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন, তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা!২ জানুয়ারি সুব্রত বক্সী উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করবেন বলে,আশ্বাস দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ।তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেছেন, দল ২ তারিখে সময় দিয়েছে। ওদের সঙ্গে বসে এই যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে, সেটা মেটানোর চেষ্টা হবে।কিন্তু তাতেও গলেনি বরফ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সুব্রত বক্সীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেননি এদের কেউই। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন,এই বিষয়ে আমার কাছে কোনও খবর নেই। কেউ আমার কাছে কিছু জানতেও চায়নি। মেদিনীপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব বলেছেন, কালকে আমার ওয়ার্ডের একজন তৃণমূল কর্মী দুর্ঘটনায় আহত হয়। কলকাতা থেকে যখন জানতে চাওয়া হল আমরা বেরিয়েছিল কিনা তখন বললাম দাদা এই এই ঘটনা। বলল না আগে কর্মী দেখ। এই নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, 'পদত্যাগ-দেহত্যাগের কথা বলছে, পাবলিক এদের ত্যাগ করলে জ্ঞান হবে', মন্তব্য দিলীপের
কয়েকদিন আগেই জগদ্দলের বিধায়ক ও ব্যারাকপুরের সাংসদের দ্বন্দ্ব মেটাতে আসরে নেমেছিলেন সুব্রত বক্সী। কিন্তু সেই বৈঠকে অর্জুন সিং গেলেও, যাননি জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। আর এবার, মেদিনীপুর পুরসভার কোন্দলের ক্ষেত্রেও, কার্যত সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।