North 24 Pargana: বর্ষার আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে নদীর বাঁধ, একাধিক গ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ থাকায়, এই বিপত্তি বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি।
![North 24 Pargana: বর্ষার আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে নদীর বাঁধ, একাধিক গ্রামে বন্যার আশঙ্কা Before the monsoon, the river dam is collapsing, there is a risk of flooding in several villages North 24 Pargana: বর্ষার আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে নদীর বাঁধ, একাধিক গ্রামে বন্যার আশঙ্কা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/02/20/c0a44d3f52d44952eddb071dd05c26331676870265632176_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সন্দেশখালি: বর্ষার আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে নদীর বাঁধ। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির (Sandeskhali) ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ থাকায়, এই বিপত্তি বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে তৃণমূলকে (tmc) নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)।
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকে আচমকাই ভেঙে পড়ে ৪০০ মিটারের বেশি আয়লা বাঁধ। এর ফলে রায়মঙ্গল নদীর জলে প্লাবিত হতে পারে মণিপুর (Manipur), দুর্গামণ্ডপ ও কোরাকাটি, এই ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আয়লা বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে, কংক্রিটের ঢালাই হয়নি। সেই কারণেই বাঁধ ভেঙে এই বিপত্তি ঘটেছে। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
জলের তোড়ে বাঁধের দেওয়ালে ফাটল
নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বড় বড় কংক্রিটের চাঁই। শনিবার রাতে ভয়ঙ্কর ভাঙনের সাক্ষী থাকলেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের আতাপুর মৌজার বাসিন্দারা। রায়মঙ্গল ও বড় কলাগাছি নদীর সংযোগস্থলে প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধের আর কোনও অস্তিত্বই নেই। এর ফলে মণিপুর, দুর্গামণ্ডপ, কোড়াকাটি, আমতলি-সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সন্দেশখালির বাসিন্দা নমিতা খামারু বলছেন, রাস্তার কোলে থাকি আমরা, যখন তখন ঘরবাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারে। রাত ৯টার দিকে বিশাল আওয়াজ, সারা রাত ঘুম নেই, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।
এতদিন টনক না নড়লেও, এবার তড়িঘড়ি কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। সেচ দফতরের আধিকারিক শান্তনু মণ্ডলের কথায়, 'আপাতত আমরা যাতে জলটা না ঢোকে সেই প্রচেষ্টা করছি।বেড ইরোশন প্রোটেক্ট করা যায়, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব'। রাজনীতিতে মন নেই সুন্দরবনের এই অঞ্চলের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। ভিটে হারানোর চিন্তায় তাঁদের ঘুম উড়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনায় আরও বিপত্তি
আসানসোল, গোয়ালপোখরের পর এবার জগদ্দল। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ জগদ্দল থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে পালঘাট রোডে চলল গুলি। ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অশোক সাউয়ের পিঠ ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি ও পরপর ২টি বোমা ছোড়া হয়। হামলাকারীরা মাস্ক পরে এসেছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সেই অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে থানায় আশ্রয় নেন শাসক-নেতা। তৃণমূল নেতার দাবি, জেলে বসে তাঁকে খুনের ছক কষা হচ্ছিল, এই খবর তাঁর কাছে ছিল। এই সূত্রে আরমান নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর নাম উঠে এসেছে। তাকে আটক করেছে পুলিশ। হামলার কারণ সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে পুলিশ ও তৃণমূল নেতার পরিবার। খবর পেয়ে থানায় যান জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। সাতসকালে জনবহুল এলাকায় গুলি চলায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)