North 24 Parganas:সোনা পাচারে জড়িত সন্দেহে ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার পেট্রাপোল সীমান্তের বিএসএফের
BSF Arrests 3 From Petrapole Border:সোনা পাচারে জড়িত সন্দেহে ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পেট্রাপোল সীমান্তের বিএসএফ। ধৃতদের থেকে আনুমানিক ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সোনা পাচারে জড়িত সন্দেহে ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পেট্রাপোল সীমান্তের বিএসএফ। ধৃতদের থেকে আনুমানিক ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। উদ্ধার হওয়া সোনা ও ধৃতদের পরে বিএসএফ, পেট্রাপোল কাস্টমসের হাতে তুলে দেয়।
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্তের ১৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ ২২টি সোনার বিস্কুট, ৩টি সোনার পেস্ট উদ্ধার করে। পাচারকারী সন্দেহে আটক করা হয় ৩ জনকে। বিএসএফের বক্তব্য, চোরাকারবারিরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল। বিএসএফের তৎপরতায় তা উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ৩, ৬২৮ কিলোগ্রাম। বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে গিয়ে খালি ট্রাক ভারতে ফেরানোর সময় এই সোনা বাংলাদেশ থেকে এদেশে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে খবর। সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা তল্লাশি চালিয়ে সেই ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করে। ধৃতদের নাম রাজু দাস , সঞ্জীব দাস এবং মহম্মদ রিবায়েদিন।
সীমান্ত এলাকায় যে চোরাচালানকারীদের দাপট অব্যাহত, সে ব্যাপারে বার বার সাধারণ মানুষকে সাবধান করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও কি তাতে ছেদ পড়ল? দিনদশেক আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে যে হিসেব দেওয়া হয়, তাতে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৮টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। এর বাজার মূল্য ২ কোটি টাকার বেশি। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন BSF-এর তরফে ওই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বিস্কুট পাচারের পরিকল্পনা ছিল। চোরাকারবারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে BSF ২৮টি সোনার বিস্কিট উদ্ধার করে, দুই চোরাচালানকারীকে আটকও করা হয়।
পাশাপাশি, সীমা চৌকি গোবর্ধায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ১০৭ নং ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা এক পাচারকারীর থেকে ছয়টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেন। অভিযুক্তকে আটক করা হয়। তাঁর নাম সুজিত রায় বলে জানা গিয়েছিল। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরেরই বাসিন্দা। আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে সেগুলি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল BSF। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন BSF-এর জনসংযোগ বিভাগের DIG এতে জওয়ানদের প্রশংসা করে জানান, দরিদ্র, অসহায় মানুষকে অর্থের লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে চোরাকারবারিরা। কুখ্যাত চোরাচালানকারীরা সরাসরি অপরাধমূলক কাজে অংশ নেন না। বরং দরিদ্র মানুষকে দিয়ে এই সব কাজ করান। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার মানুষকে এ নিয়ে কোনও তথ্য থাকলে BSF-কে জানাতে আর্জি জানান তিনি।