Habra Child Smuggling: চারদিনের শিশুকন্যাকে বিক্রির ছক, দম্পতি-সহ গ্রেফতার ৪
জানা গিয়েছে ৪ লক্ষ টাকায় শিশুকন্যা বিক্রির ছক কষেছিল ওই দল। সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ। ২ মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বামনগাছি থেকে দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
![Habra Child Smuggling: চারদিনের শিশুকন্যাকে বিক্রির ছক, দম্পতি-সহ গ্রেফতার ৪ Habra Child Smuggling case, couple arrested Habra Child Smuggling: চারদিনের শিশুকন্যাকে বিক্রির ছক, দম্পতি-সহ গ্রেফতার ৪](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/01/31/546f465f8109c7990ff49ab5dec2062f_original.webp?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সমীরণ পাল, হাবড়া: হাবড়ায় (Habra) শিশুকন্যা বিক্রির (Girl Child Smuggling) ছক বানচাল, দম্পতি-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। জানা গিয়েছে ৪ লক্ষ টাকায় শিশুকন্যা বিক্রির ছক কষেছিল ওই দল। সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ। ২ মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বামনগাছি থেকে দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, অভিনব কৌশলে মায়ের কোল থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটল হুগলির (Hooghly) চাঁপদানি (Chapdani) বাজারে। অভিযোগ পাওয়ার একদিনের মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ (Police)। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকেও। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ওই শিশুর পরিবার। গত মঙ্গলবার বিকালে চাঁপদানি বাজার এসেছিলেন এক মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর শিশুসন্তান। বয়স প্রায় একমাস। গঙ্গা পুজোর বাজার করতে চাঁপদানি বাজারে এসেছিলেন মা।
যখন জিনিসপত্র কেনাকাটা করছিলেন, তখন এক অচেনা মহিলা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। বলেন, আপনার অসুবিধা হচ্ছে। বাচ্চাকে দিন, আমি ধরছি, আপনি বাজার করুন। সরল বিশ্বাসে শিশু সন্তানকে ওই মহিলার কোলে তুলে দেন তিনি। এরইমধ্যে চাদর কেনার সময় তিনি তাকিয়ে দেখেন সেই মহিলা নেই। তাঁর অন্যমনস্ককার সুযোগ নিয়ে শিশুকে নিয়ে কখন চম্পট দিয়েছে ওই মহিলা।
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। সারা বাজার উদভ্রান্তের মতো খোঁজাখুঁজি করেও ওই মহিলা বা সন্তানের কোনও হদিশ পাননি। শেষপর্যন্ত শিশুটির মা চাঁপদানি ফাঁড়িতে এসে সব ঘটনা জানান। সেখানে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশুটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।
পাশাপাশি এই একই দিনে হাওড়ায় শিশুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সত্ বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্ত্রীর প্রথমপক্ষের সন্তানকে মেনে নিতে আপত্তি ছিল, তাই খুন। জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন সৎ বাবা, এমনই খবর পুলিশ সূত্রে। ধৃতের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নীল হুডি পরে গলির মধ্যে খেলে বেড়াচ্ছে একরত্তি। সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, ঘড়িতে তখন, সোমবার বিকেল ৫টা ৩৫। ঘণ্টাখানেক পর আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বাবার পাশে হেঁটে যাচ্ছে বছর চারেকের শেখ সাহিল।
হাওড়ায় সেই চার বছরের শিশুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায়, সৎ বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক আধিকারিকরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। ধৃত উমেশ দ্বিবেদী মঙ্গলবারও দাবি করেন, তিনি ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না।
পুলিশ সূত্রে দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর তার ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই ভেঙে পড়েন মৃত শিশুর সৎ বাবা উমেশ দ্বিবেদী। শিশুটিকে রিজার্ভারে ঠেলে ফেলে খুনের কথা কবুল করেন তিনি।
পুলিশের দাবি, দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর, স্ত্রীর প্রথমপক্ষের সন্তানকে মেনে নিতে আপত্তি ছিল সত্ বাবার। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সোমবার বিকেলের পর থেকে কোথাও আর শিশুটিকে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে টিকিয়াপাড়ার নির্মীয়মাণ মার্কেটের রিজার্ভারে মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। চার বছরের সাহিল আর কখনও ফিরবে না, এটা ভেবেই বুকের ভেতরটা মুচড়ে যাচ্ছে পরিচিতদের।
শিশু চুরির ঘটনায় সমগ্র এলাকাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটি নিরাপদে উদ্ধার হওয়ায় ও অভিযুক্ত ধরা পড়ায় স্বস্তি পেয়েছেন সবাই।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)