(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
North 24 Parganas News: অসুস্থতার ভান, জল খেতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে খুন !
Madhyamgram Murder Case: এক সপ্তাহের মাথায় যখন হেদুয়া হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ, তখনই ঠাকুরপুকুরে খুন হলেন যুবক, মধ্যমগ্রামে পরিচিত ব্যক্তির হাতে খুন হলেন মহিলা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: অসুস্থতার ভান করে জল খেতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে খুন। পালাতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত পনির বিক্রেতা। মহিলার পরিচিত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাসিন্দাদের মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঠিক কী কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মধ্যমগ্রামে মহিলাকে কুপিয়ে খুন
এক সপ্তাহের মাথায় যখন হেদুয়া হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ, তখনই ঠাকুরপুকুরে খুন হলেন যুবক, মধ্যমগ্রামে পরিচিত ব্যক্তির হাতে খুন হলেন মহিলা। মধ্যমগ্রামে মহিলাকে কুপিয়ে খুন। গ্রেফতার পরিচিত পনিরওয়ালা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের পূর্ব উদয়রাজপুরে।মৃতের নাম পারমিতা চক্রবর্তী (৪২)।
লুঠে বাধা পেয়ে খুন? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ?
পরিবার সূত্রে খবর, সনৎ বসু নামে এক পনির বিক্রেতা প্রায়ই পনির বিক্রি করতে বাড়িতে আসতেন। বুধবার সকালে এসে অসুস্থতার কথা বলে জল খেতে চান। ঘরে ঢুকে জল খাওয়ার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন পারমিতার ওপর। কুপিয়ে খুন করেন মহিলাকে।মায়ের চিৎকারে ছেলে ছুটে এলে পালিয়ে যান পনির বিক্রেতা। পরে ধরা পড়ে যান স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে। শুরু হয় মারধর। এদিকে মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু পরিচিত পনির বিক্রেতা কেন হামলা চালালেন মহিলার ওপর? লুঠে বাধা পেয়ে খুন? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন
প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসেও এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুরের আমতলায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন করে গোপনে দেহ সৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। শ্মশান থেকে দেহ নিয়ে এসে থানার সামনে বিক্ষোভ পরিজনদের, অভিযুক্তর দোকান ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ীকে।
আরও পড়ুন, চতুর্থীতেই রাজপথে ঢল, ঢাকের তালে নাচ জয়া এহসানের
পরিবারের অভিযোগ, রাতে খুন করে কাউকে কিছু না জানিয়ে দেহ সৎকারের চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত জয়ন্ত সাহা। জানতে পেরে শ্মশান থেকে দেহ এনে থানার সামনে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। উত্তাল হয়ে উঠেছিল আমতলা এলাকা। অভিযুক্তের ওষুধের দোকানে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও তাঁর দাবি ছিল, 'মহিলা আত্মহত্যা করেছিলেন। অভিযুক্তরও তাই দাবি ছিল। তিনি বলেছিলেন, সুইসাইড করার চেষ্টা করে। আমরা যখন খবর পাই, গিয়ে দেখি, তখনও প্রাণ আছে। আমি এই ডাক্তারের প্রফেশনে আছি। আমি বিষয়টি জানি। আমিও এইজন্য সঙ্গে সঙ্গে লোকজন করে একটি অ্যামবুল্যান্সে করে নার্সিংহোমে নিয়ে যাই। সবরকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।'