Maoist Arrest: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ধৃত সন্দেহভাজন শীর্ষ মাওবাদী নেতা
Maoist Leader Arrested:উত্তর ২৪ পরগনায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এক মাওবাদী শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করলেন এনআইএ গুয়াহাটি শাখার গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম সম্রাট চক্রবর্তী।
আবির দত্ত, কলকাতা: উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে (Kalyani Expressway) থেকে এক মাওবাদী শীর্ষ (Maoist Leader) নেতাকে গ্রেফতার (arrest) করলেন এনআইএ (NIA) গুয়াহাটি শাখার গোয়েন্দারা (investigation)। ধৃতের নাম সম্রাট চক্রবর্তী। তিনি মাওবাদীদের রাজ্য কমিটির নেতা ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রয়েছে।
যা জানা গেল...
দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সম্রাটের। এনআইএ সূত্রে খবর, অবশেষে তাঁর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে জানা যায়, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ একাধিক জায়গায় গিয়েছেন সম্রাট। এর পর গত কাল গভীর রাত থেকেই তল্লাশি চালাতে শুরু করেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রাক্তন প্রয়াত উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তীর আত্মীয় সম্রাটকে এর পর গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। কারণ, গুয়াহাটির একটি মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্রাটের সঙ্গে আর কাদের যোগাযোগ ছিল খতিয়ে দেখা দেখছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই শীর্ষ মাওবাদী নেতার আর একটি নাম নির্মাণ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়াতেই ঝাড়গ্রাম-সহ জঙ্গলমহলের বড় অংশে ফের মাওবাদীদের গতিবিধির বাড়বাড়ন্ত আঁচ করেছিলেন গোয়েন্দাদের একাংশ।
মাওবাদী গতিবিধি...
কখনও মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার, কখনও আবার ল্যান্ডমাইন উদ্ধার ঘিরে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ অংশে ফের জাঁকিয়ে বসেছিল আতঙ্ক। বিনপুর থেকে শালবনি, বেলপাহাড়ি, বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ঘটনায় মাওবাদীদের সক্রিয়তা টের পেতে শুরু করেন স্থানীয়দের অনেকে। জারি হয় রেড অ্যালার্ট, বাড়ে পুলিশের টহল, নজরদারি, শুরু হয় নাকা চেকিং। এমনকি গত এপ্রিলে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককে মাওবাদী দৌরাত্ম্যের বিষয়ে প্রশ্ন করেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। জানান, তাঁর কাছে তথ্য আছে যে সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয়দের মধ্যে মাওবাদী-আতঙ্ক দানা বাঁধছে। ঘটনাচক্রে এপ্রিল মাসেই বাংলা বনধের যে ডাক মাওবাদীরা দিয়েছিল, তার প্রভাব পড়ে ঝাড়গ্রাম-সহ বিনপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে। বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়ি, লালগড়, শিলদা, দহিজুড়ি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ভালো সাড়া মেলে ওই বনধের, দাবি স্থানীয়দের একাংশের। বন্ধ থাকে বাস, রাস্তা জনশূন্য হয়ে পড়ে। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া লাগোয়া রানিবাঁধ, রাইপুর ও সারেঙ্গা ব্লকে ভালো সাড়া মেলে। যদিও তার পর এ নিয়ে তেমন ভাবে আর আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন:'চাকরি হবে ভেবেছিলাম, এখন হতাশ' মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে পাওয়া নিয়োগপত্রে বিভ্রান্তি