North 24 Paragana : জমা জল পরিষ্কার করার সময় মোবাইল ফোনে চার্জ ! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু সাফাইকর্মীর
উত্তর ২৪ পরগনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সমীরণ পাল, আগরপাড়া(উত্তর ২৪ পরগনা) : গতকালই আগরপাড়ায় বাড়ির কোলাপসিবল গেট খুলতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। এবার আগরপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। স্থানীয় একটি কারখানার মধ্যে জমা জল পরিষ্কার করার সময় এক সাফাইকর্মী মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে যান । সেই সময় বছর ৩৫-এর ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁকে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয়। মৃতের নাম সোনা রায়। বাড়ি আগরপাড়ার শালপাতা বাগানে।
অন্যদিকে আগরপাড়ায় বাড়ির দরজায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। পানিহাটি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আগরপাড়ার তারাপুকুর পশ্চিম পল্লি এলাকার বাসিন্দা দীপক নাথ চৌধুরী। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল একাই বাড়িতে ছিলেন বছর পঁয়ষট্টির প্রৌঢ়। মেয়ে পড়তে গিয়েছিল। সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ির কোলাবসিবল গেট খুলতে গিয়ে তড়িদাহত হন প্রৌঢ়। বলরাম সেবা মন্দির স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। ফলে, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন ; আগরপাড়ায় বাড়ির দরজায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে দমদম মতিঝিলে জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ কিশোরীর মৃত্যু হয়। টিউশনে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। সোদপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। অর্থাৎ একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনার দুই জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ কিশোরী সহ ৩ জনের। জমা জলের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই ২ কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে মতিঝিলের বান্ধবনগরে।
এদিকে একই চিত্র দেখা গেছে মালদার মোথাবাড়িতেও। রাস্তায় জমা জলে পড়েছিল হাইটেনশন তার। তাতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিলেন শরাফতটোলা এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিকি শেখ। রাস্তায় জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় বছর ষাটের প্রৌঢ়ের। স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা কাজ করে যাওয়ার পরেও রাস্তায় পড়েছিল ১১ হাজার ভোল্টের হাইটেনশন তার। বিষয়টি বিদ্যুৎ দফতরে জানানো হলেও তা সরানো হয়নি, গ্রামবাসীদের সতর্কও করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। পরে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।