North 24 Paraganas News: ফের অস্বস্তিতে বিজেপি, হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার দুই নেতা
North 24 Paraganas Political News: বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শংকর দাস বলেছেন, এতদিন তিনি করোনা পরিস্থিতি মাঠে-ময়দানে থেকেছেন। কিন্তু সাংগঠনিক রদবদলের ব্যাপারে দলের নেতৃত্ব তাঁদের কিছু জানাননি।
সমীরণ পাল, বারাসাত (উত্তর ২৪ পরগনা): ফের অস্বস্তিতে বিজেপি (BJP)। বনগাঁর পর এবার বারাসাত সাংগঠনিক জেলা (BJP Barasat Organisational District)। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও আহ্বায়ক। বারাসাত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বদলের পর নেতাদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করার হিড়িক প্রকাশ্যে এল। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শংকর দাস বলেছেন, ‘নেতৃত্ব গুরুত্ব দিচ্ছে না, তাই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’। তিনি বলেছেন, এতদিন তিনি করোনা পরিস্থিতি মাঠে-ময়দানে থেকেছেন। কিন্তু সাংগঠনিক রদবদলের ব্যাপারে দলের নেতৃত্ব তাঁদের কিছু জানাননি। ফলে তাঁরা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। এই ক্ষোভের কারণেই দলের একাধিক হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন।
অন্যদিকে, বারাসত সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক পদে ছিলেন অনুপ দাস। তিনি হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ব্যক্তিগত কারণে ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে এই নেতারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। এরসঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দলের নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং সমস্যার সমাধান করবে। হোয়াটস্যাপ গ্রুপে থাকা না থাকার মধ্যে কোনও কিছু যায় আসে না বলে তিনি বিষয়টি খাটো করতে চেয়েছেন।
পুরভোটের মুখে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের এই ক্ষোভকে গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল। তাদের দাবি, এখানে বিজেপির সংগঠন বলতে কিছু নেই। তাই এই ঘটনায় তাদের কোনও যায় আসে না।
অন্যদিকে, পুরভোটের মুখে বিজেপি সাংগঠনিক জেলায় যে ভাঙন আসতে চলেছে, এই ঘটনা তারই অশনি সংকেত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নেতাদের হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।
এর আগে ৫ বিধায়ক দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ায়, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রাজ্য বিজেপিতে এখনও শূন্যপদ আছে। অনেককে জায়গা দেওয়া হবে। অন্যদিকে ৫ বিধায়ককে তৃণমূলে আহ্বান জানান মমতাবালা ঠাকুর। মতুয়াদের সঙ্গে আত্মীক সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার।