Ariadaha School Contro: 'বাংলা ভাষা অস্তিত্বহীন', বাংলার শিক্ষিকাকে বরখাস্তের নোটিস দিয়ে বিতর্কে স্কুল
রাজ্যের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এমনই নোটিস পাঠাল শিক্ষিকাকে! যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হোলি চাইল্ড।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সকুলে বাংলা ভাষার পড়ুয়াই নেই। তাই বাংলার শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার নোটিস দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়াল আড়িয়াদহর হোলি চাইল্ড স্কুল (Ariadaha Holi Child School)। নোটিসে লেখা হয়- বাংলা ভাষা প্রায় অস্তিত্বহীন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভুলবশত ওই লাইন থেকে একটি শব্দ বাদ পড়ে যায়। পরে সংশোধন করে চিঠি পাঠানো হয়েছে শিক্ষিকাকে।
'বাংলা ভাষা প্রায় অস্তিত্বহীন! প্রয়োজন নেই বাংলার শিক্ষিকা!' রাজ্যের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এমনই নোটিস পাঠাল শিক্ষিকাকে! যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হোলি চাইল্ড। সম্প্রতি এই স্কুলের বাংলা ভাষার শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নোটিস পাঠায় কর্তৃপক্ষ। নোটিসটি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়।
তাতে লেখা হয়, আমাদের স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা ও হিন্দি পড়ানো হয়। প্রায় সব পড়ুয়াই হিন্দি পড়ে। বাংলা ভাষা প্রায় অস্তিত্বহীন। সেই কারণে স্কুলে এখন বাংলা শিক্ষিকার প্রয়োজন নেই। আপনাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। বিতর্কের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি নোটিস সংশোধন করে আবার পাঠানো হয়।
সংশোধিত নোটিসে বিতর্কিত লাইনটি বদলে লেখা হয়, বাংলা ভাষার ছাত্র আমাদের স্কুলে প্রায় অস্তিত্বহীন। আড়িয়াদহ হোলি চাইল্ড স্কুলের ইনচার্জ কমলেশ বসুর সাফাই, শারীরিক কারণে হয়তো ভুল করে ছাত্র শব্দটা বাদ পড়ে গিয়েছিল। উনি আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতেন।
আমরি বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম হয়েছে পদ্মাপারে। টেমসের তীরে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল মেট্রো স্টেশনে ঝুলছে বাংলায় লেখা বোর্ড। বাংলা ভাষা শিখতে রীতিমতো শিক্ষক রেখে পড়াশোনা করছেন এ রাজ্যের রাজ্যপাল। আর সেই রাজ্যেরই একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাংলা ভাষার ছাত্র নেই বলে বরখাস্ত করে দেওয়া হল শিক্ষিকাকে! যে শিক্ষিকাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
শুভেন্দুর কাটমানি কটাক্ষ: উল্লেখ্য, এবার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ইউনিফর্মেও কাটমানির অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে বিরোধী দলনেতা লেখেন, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের মাপ নেওয়ার দায়িত্ব স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। এটা প্রহসন, অভিভাবকদের বোকা বানানোর জন্য আইওয়াশ। বাস্তবটা হল, কাটমানির বিনিময়ে আগেই তৈরি নিম্নমানের ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে আরও লেখেন, গতবছর স্কুল ইউনিফর্ম সেলাইয়ের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা টাকা পাননি। এখন, স্কুল ইউনিফর্মের পড়ুয়াদের মাপ মতো না হলে, তাঁদেরকেই দায়ী করা হবে। আমি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এই নির্দেশ মানার আগে ভেবে দেখতে বলব। ট্যুইটে লেখেন শুভেন্দু অধিকারী।