Adeno Virus Update: একের পর এক মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় অ্যাডিনো ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ শিশু
এ দিন সন্ধেয় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি আরও ২ শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদের মধ্যে একজন জয়নগরের বাসিন্দা, বয়স ৭ মাস।
কলকাতা: অ্যাডিনো-আতঙ্কের (Adenovirus) মধ্যেই ফের বি সি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ শিশুর মৃত্য়ু হল। মৃত্যু হল মছলন্দপুরের বাসিন্দা এক বছর তিন মাসের একটি শিশুর। আজ সকালেই মৃত্যু হয় কামালগাজির বাসিন্দা ৬ মাসের এক শিশুর এবং বারাসাতের ময়নার বাসিন্দা ১০ মাসের শিশুরও। ৯ দিন আগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল।
এ দিকে, রবিবার জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শাসনের বাসিন্দা ১১ মাসের শিশুকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তারও। ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো সংক্রমণের উল্লেখ রয়েছে।
এ দিন সন্ধেয় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি আরও ২ শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদের মধ্যে একজন জয়নগরের বাসিন্দা, বয়স ৭ মাস। অন্যজন নারায়ণপুরের বাসিন্দা, বয়স ৩ বছর। এই দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, দুপুরে মৃত্যুর জানানো হলেও রাত সাড়ে আটটা অবধি দেহ দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। পুলিশ হস্তক্ষেপে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।অ্যাডিনো ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৮ জন শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে।
একের পর এক শিশুর মৃত্যু, হাহাকার। রাজ্যে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে অ্যাডিনো ভাইরাস! সেই আতঙ্কের মধ্যেই বি সি রায় হাসপাতালে আরও ৬ শিশুর মৃত্য়ু হল। এই নিয়ে গত ২ মাসে মৃত শিশুর সংখ্য়া বে়ড়ে দাঁড়াল ৫৮! বুধ থেকে শুক্র, এই ৩ দিনে, বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্য়ু হয়েছে ১৩ জনের।
১১ মাসের দুধের শিশুর প্রাণ কাড়ল অ্যাডিনো ভাইরাস, রবিবার জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল শাসনের বাসিন্দা ওই শিশু। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সব শেষ। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয়েছে বারাসাতের ময়নার বাসিন্দা ১০ মাসের শিশুর। ৯ দিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
একদিকে শিশুদের মৃত্যু মিছিল, সন্তান হারানোর যন্ত্রণা, তার মধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ২ মৃত শিশুর পরিবার। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল জয়নগরের বাসিন্দা ৭ মাসের এক শিশু ও নারায়ণপুরের বাসিন্দা ৩ বছরের শিশু। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুর খবর জানানো হলেও রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। সেনিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিনই বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় মছলন্দপুরের বাসিন্দা এক বছর তিন মাসের এক শিশু ও কামালগাজির বাসিন্দা ৬ মাসের একরত্তির।