Civic Volunteer Arrest: চিপস কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
East Midnapore News: পাঁশকুড়ার সিভিক ভলান্টিয়ারের শুভঙ্কর রক্ষিতের দোকানে চিপস কিনতে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দোকানে গিয়ে মালিককে না পেয়ে, মাটিতে পড়ে থাকা চিপসের প্য়াকেট তুলে নেয় সে।

বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় চিপস কাণ্ডে অবশেষে মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর রক্ষিতকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে পাঁশকুড়ার জিঁয়াদা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের। সোমবার তমলুক আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত মে মাসে পাঁশকুড়ার সিভিক ভলান্টিয়ারের শুভঙ্কর রক্ষিতের দোকানে চিপস কিনতে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দোকানে গিয়ে মালিককে না পেয়ে, মাটিতে পড়ে থাকা চিপসের প্য়াকেট তুলে নেয় সে। পরিবারের অভিযোগ, চোর অপবাদ দিয়ে নাবালককে মারধর করে সিভিক ভলান্টিয়ার। পরিবারের দাবি, চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় নাবালক। ছাত্রের ঘর থেকে, আমি চুরি করিনি লেখা একটি চিরকুটও উদ্ধার হয়। নাবালকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে আত্মহত্য়ার প্ররোচনা, মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
এই ঘটনায়, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য়র বিরুদ্ধে FIR করে বালকের পরিবার। যদিও ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় তার পরিবার। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী নিশা দীক্ষিত দাবি করেন, "এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্য়ে কথা ওর মাকে দিয়ে বলানো হয়েছে। আমার স্বামী ওকে মারিনি। ও নিজে কান ধরেছে। ভেবেছে আমার স্বামী করিয়েছে।''
এই প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে আরেকটি নামও। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা শ্য়ামাপদ ভুঁইয়া। অভিযোগ, যেদিন, এই গোটা ঘটনা ঘটে, সেদিন ছাত্রের বাড়ি গিয়ে তাঁর মাকে সবটা জানান শ্য়ামাপদ ভুঁইয়া নামে এই ব্য়ক্তি। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রীয়ের অভিযোগ, "শ্য়ামাপদ ভুঁইয়া এই গ্রামের ঘরজামাই। সে গিয়ে বাড়িয়ে বলে। ফলে ওর মা রেগে যায়। ছেলেটাকে বকাবকি করে। আমার বর মিটমাট করিয়ে দিতে চেয়েছিল। চোর চোর। ধরা হবে, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্য়ে কথা ওর মাকে দিয়ে বলানো হয়েছে।'' বাড়িয়ে বলার কথা অবশ্য় মানতে চাননি নিহত ছাত্রের মা। তিনি জানিয়েছেন, "উনি এসে আমায় জানিয়েছেন। উনি ওঁর কাজ করেছেন।''






















