Panskura News: পাঁশকুড়াকাণ্ডে ধৃত জাহির আগেও নাবালিকা নিগ্রহ করে জেল খাটে! অবশেষে লুকিয়ে 'ভিডিও রেকর্ডিং'-এ কুকীর্তি ফাঁস!
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত জাহির আব্বাস খানের আরও এক কুকীর্তি সামনে এল!

বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া: সামনে এল পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত জাহির আব্বাস খানের আরও এক কুকীর্তি। ২০০৮ সালে অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে জাহিরের বিরুদ্ধে। তখন ৩ মাস জেলও খাটতে হয়েছিল তাকে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে জাহির আব্বাস খান।
পাঁশকুড়া ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খান গ্রেফতার হওয়ার পরেই, একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একাধিক কর্মী। বলা হয়, 'আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট খারাপ ব্যবহার করত। কারণ আমরা কষ্ট করে কাজে ঢুকেছি।' আরেক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, 'বেশি বলতে গেলে বলে লাথ মেরে বের করে দেব। ডিউটি করতে দেব না। যা, কাকে ডাকবি ডাক। এরকম বলত।'
এরমধ্যেই পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত জাহির আব্বাস খানের আরও এক কুকীর্তি সামনে এল! অভিযোগ, ২০০৮ সালে অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকাকেও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে জাহিরের বিরুদ্ধে। সেবার ৩ মাস জেলও খাটতে হয়েছিল তাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবারের ঘটনায় জাহির আব্বাস খান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো এই মামলার কথা আদালতে জানানো হয়েছে। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, রবিবারের ঘটনাতেও জাহিরের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। কর্মীদের দাবি, তাঁরা চাঁদা তুলে একটা মোবাইল ফোন কেনেন। এরপর সেটির ভিডিও রেকর্ডিং মোড অন করে লুকিয়ে রাখা হয় জাহির আব্বাসের ১৫৭ নম্বর ঘরে।
সূত্রের দাবি, তাতেই ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী এবং ওয়ার্ড গার্ল বলেন, '১৩০ জনই বসে চাঁদা তুলে হোক, আমরা প্ল্যান করে এরকম করেছি। এখন হাতেনাতে ধরা পড়ে গেছে। সবাই মিলেই রেকর্ড করা হয়েছে।'
স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, এর আগে ঠিকাদার সংস্থার ইনচার্জ পদে ছিলেন জাহির আব্বাস খান। সংস্থার বদল হলেও, জাহির থেকে যান। উল্টে নতুন ঠিকাদারি সংস্থা তাঁকে ফেসিলিটি ম্যানেজার পদে নিযুক্ত করে। হাসপাতালে তাঁর একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ও গাড়িও চলত।
তবে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার কৌশিক ঢালি বলেন, 'অ্যারেস্ট হওয়ার পরেই ওনার মাতৃযান, সুপারের গাড়ি, অফিসের গাড়ি এবং BPHC-র গাড়ি এবং যতরকমের গাড়ির সঙ্গে ওনার চুক্তি ছিল আমরা কালকেই ওনাকে চিঠি দিয়ে সব বাতিল করে দিয়েছি।'
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কার বলে এতটা বলীয়ান হয়ে উঠেছিল ধর্ষণে অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খান? শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'জাহির আব্বাস কে? তৃণমূলের বড় নেতা, তৃণমূলের বড় ওখানকার হার্মাদ নেতা। তার মহিলাদের শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণ করার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের আলাদা রুম ছিল। বড় মাথা না থাকলে এত বাড়তে পারে? আগামীকাল মহিলারা ঝাঁটা মিছিল করছে পাঁশকুড়ায়। মমতা ব্যানার্জির আশীর্বাদ ছিল তাই হয়েছে। যার মাথায় পিসির হাত, সেই খাবে জেলের ভাত।'
২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে জাহির আব্বাস খান।






















