Park Street: 'কাজটা খারাপ হয়েছে, মাথা গরম হয়ে গেছিল', জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে অনুতপ্ত অভিযুক্ত CISF জওয়ান
Park Street Shooting: জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে অনুতপ্ত অভিযুক্ত CISF জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্র, এমনটাই দাবি।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: শনিবারের সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিট (Park Street) কাঁপিয়ে দিয়েছিল, CISF’র হেড কনস্টেবল (Head Constable) অক্ষয় কুমার মিশ্রের হাতে থাকা AK 47। বার্স্ট ফায়ারে মৃত্যু হয় একজনের! আহত হন আরও এক! আচমকা কেন সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালালেন অক্ষয়? টার্গেট কিলিংয়ের (Target Killing) উদ্দেশেই কি শনিবারের বার্স্ট ফায়ারিং?
যদিও, পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন তিনি মাথা গরম করে এই কাজ করে ফেলেছেন। জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে অনুতপ্ত অভিযুক্ত CISF জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্র, এমনটাই পুলিশের দাবি। ধৃত জওয়ান জেরায় জানিয়েছেন কাজটা খারাপ হয়েছে। করা উচিত হয়নি। মাথা গরম করেই যে ভয়ানক ঘটনা ঘটিয়েছেন তাও কবুল করেছেন অক্ষয়।
যদিও CISF জওয়ানের দাবি, কোম্পানি হাবিলদার মাস্টার পদে থাকায় তাঁর দায়িত্ব ছিল রোলকলের সময় বাকিদের একত্রিত করা। শনিবার সেই কাজই করছিলেন তিনি। কিন্তু ৫-৬ জন ছাড়া রোলকলের সময় কেউ হাজির না হওয়ায়, তাঁকে সবার সামনে বকেন ইন্সপেক্টর। তাতেই আত্মসম্মানে লাগে অক্ষয়ের। সেন্ট্রির কাছ থেকে AK 47 রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্টকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। ধৃত CISF জওয়ানের দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা, উল্টে গেল দিঘাগামী পর্যটক ভর্তি বাস
অন্যদিকে, এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেলেন ভারতীয় জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে জখম CISF-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ। তাঁর ডান হাতের কনুইয়ের নীচে গুলি লাগলেও তা হাত ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। ফলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত মাংসপেশীর চিকিত্সা করে CISF আধিকারিককে রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে, সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে CISF-এর এএসআই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গির। আদতে ওড়িশার ঢেঙ্কানলের বাসিন্দা হলেও কয়েকবছর ধরে সপরিবারে কুদঘাটে ভাড়া থাকতেন রঞ্জিত। বাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রী। এভাবে বিপর্যয় নেমে আসায় গোটা পরিবার হতচকিত। এলাকাতেও শোকের ছায়া। সকালে নিহত জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন CISF-এর আধিকারিকরা।